মনিরুল হক মনি, বাগেরহাট

  ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রঙিন ফুলকপিতে রঙিন শ্যামল পাল 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন শ্যামল পাল নামে এক চাষি। রঙ-বেরঙের বাহারি ফুলকপি উচ্চমূল্যে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এই চাষি। পাশাপাশি এটি চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের।

জানা যায়, উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে ৫০ শতক জমিতে হলুদ, সাদা ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন চাষি শ্যামল পাল। স্মলহোল্ডার অ্যাগ্রিকালচারাল কমপিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় চাষ করা রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে তিনগুণ বেশি।

কৃষক শ্যামল পাল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিনি ৫০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি বাজারে প্রতি পিস ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তিনি এই ফুল কপি প্রতি পিস প্রায় ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায়

আগামী মৌসুমে তিনি আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান।

স্থানীয় কৃষাণি সুনন্দা দাসসহ কয়েকজন কৃষক জানান, সাধারণ জাতের মতোই রঙিন ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। ভালো চাহিদা ও উচ্চমূল্য হওয়ায় বেশি লাভ পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হেসেন বলেন, এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে এটি চাষ করা হয়েছে। কৃষক শ্যামল পালকে আমরা রঙিন ফুলকপির বীজ, জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ দিয়েছিলাম। উৎপাদন ভালো হওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। খেতেও সুস্বাদু। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় রঙিন জাতের ফুলকপির চাষ আরো বাড়বে।

ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষকেরা নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন নতুন নতুন সবজি উৎপাদন করছেন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাজার লিংকেজ করে দেওয়ায় চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাগেরহাট,ফকিরহাট,রঙিন,ফুলকপি,শ্যামল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close