কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ
কুমিল্লায় হিজাব কাণ্ডে উত্তপ্ত নার্সিং কলেজ

কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে ছোট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় শিক্ষিকা মিরন নাহারের পদত্যাগের দাবিতে নানা শ্লোগান দেওয়া হয়।
তবে ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষিকা মিরন নাহার বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম।’
শিক্ষার্থীদের বরাতে জানা গেছে, নির্সিং কলেজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদের বেল্ট দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু হিজাব বড় করে পড়ার কারণে তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই রবিবার (২১ জানুয়ারি) নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা মিরন নাহার। শিক্ষিকা পরে হিজাব কেটে ছোট করে পড়ার কথা বললে দ্বিমত করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করেই বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ওই শিক্ষিকা
- শিক্ষার্থীদের নিয়মের মধ্যে আনার জন্য কয়েকজনের হিজাব কাটার দাবি শিক্ষিকার
- অভিযুক্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে নানা শ্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
- দীর্ঘ হিজাবের কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-মার্কিং বেল্ট দেখা না যাওয়ায় বিপত্তি।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘এভাবে যদি আমাদের হিজাব কেটে পড়তে বলা হয়, বা কেটে ফেলা হয়, তাহলে আমি বলবÑ মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? ক্যাম্পাসে আমাদের শালীনতা কিভাবে আমরা বজায় রাখব?’
আরেক শিক্ষার্থী মৌরী রহমান বলেন, ‘আমি বলব, বেল্ট দিয়েই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোনো উপায়ও তো এটা করা যায়।’
কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আকতার বলেন, ‘হিজাবের বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটা করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদের নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেওয়া বা কাঁচি হাতে নেওয়া আমার উচিত হয়নি। আমি দ্রুতই শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করব।’
কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানমকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পিডিএস/আরডি