মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হঠাৎ বেড়েছে চুরি-ডাকাতি। থানা পুলিশের নজরদারীর অভাবে উপজেলার বাস্তা-মানিকনগর সড়কের হাতনি চকে গাছ ফেলে ৪ দিনের ব্যবধানে দুই ডাকাতির ঘটনায় ওই সড়কের চলাচলকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া প্রায় প্রতি রাতেই এলাকার কোথাও না কোথাও ঘটছে চুরির ঘটনা।

জানা গেছে, গত বুধবার রাত ২টার দিকে হাতনি সেতুর উত্তর পাশে রাস্তায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল গাছ ফেলে গরুবোঝাই ট্রাক আটকে এলোপাথারি কুপিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় চান্দহর এলাকার গরু ব্যবসায়ী জালালের ৮ হাজার, জলিলের ২ হাজার ৬০০ ও মানিকনগরের কহিনুরের ১৫০০ টাকা এবং ১টি মোবাইল ফোন লুটে নেয়। ডাকাতদের দায়ের কোপে আহত হন কহিনুর। এর আগে, একই স্থানে ১৩ জানুয়ারি রাত পৌনে ৩টার দিকে ডাকাতের কবলে পড়েন বাহরাইন প্রবাসী রামকান্তপুর গ্রামের সায়েদুল ইসলাম। মুখোশধারী ১০-১২ জনের ডাকাতদল তার কাছ থেকে সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩৬০ দিনার ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী সায়েদুল থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান। এদিকে, গত ১১ জানুয়ারি সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামে স্কুল শিক্ষক আবু বকরের বাড়িতে দুর্র্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নগদ সাড় ১০ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। গত ২৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে উপজেলার ধল্লাবাজারে শওকত স্যানিটারি দোকানের চালের টিন খুলে ভেতরে ঢুকে নগদ ২ লাখ টাকা, ২টি সিসি ক্যামেরাসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, ৩১ ডিসেম্বর পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া মহল্লার মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় অশোক কুমার বসু ও হারুর অর-রশিদের (হারু) বাড়িতে জানালা দিয়ে চেতনানাশক স্প্রে করে রুপার অলংকার এবং নগদ টাকা লুটে নেয়। এছাড়া, প্রায় প্রতি রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েলের মাথা, মটর, ব্যাটারিচালিত অটো-হ্যালোবাইক ও গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, যেখানেই ঘটনা ঘটছে সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পিডিএস/জেডকে