কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রতিপক্ষের বাধায় কৃষকের জমির বোরো আবাদ বন্ধ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বাধায় নিজের জমিতে বোরো আবাদ করতে পারছেন না শফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষক। ওই কৃষক চার জনের নামউল্লেখ করে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই জমিতে তাদের পাওনা অংশ রয়েছে বলে জানান প্রতিপক্ষের আলী উসমান।

অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, চরখিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শফিকুল ইসলাম। তারই প্রতিবেশি আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার শফিকুলের ফসলি জমি দখল করে নেওয়ার পাঁয়তারা করছিল। ওই চারজনই সম্পর্কে ভাই। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশেরও আয়োজন করেন শফিকুল। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে শফিকুল তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করাসহ আদালতে মামলা করেন। এরপর থেকেই শফিকুলের সঙ্গে প্রতিপক্ষের লোকজন শত্রুতা শুরু হয়।

এরইমধ্যে গত ৬ জানুয়ারি সকালে কৃষক শফিকুল তার বসতবাড়ি সংলগ্ন ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষের আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তারসহ তাদের লোকজন বাধা দেয়। এবং হুমকি দেয় যে, চাষাবাদ করতে হলে তাদেরকে এই জমি থেকে ১৩ শতাংশ লিখে দিতে হবে। আর তা না হলে চাঁদা দিতে হবে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিপক্ষের বাধা ও হুমকির কারণে আমার পৈত্রিক জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। অথচ চাষাবাদের উপযুক্ত সময় চলে যাচ্ছে। ধানের চারা বীজতলায় নষ্ট হচ্ছে। তাদেরকে জমি অথবা টাকা না দিলে তারা আমাকে চাষাবাদ করতে দিবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এদিকে প্রতিপক্ষের আলী উসমান বলেন, ‘শফিকুলদের জমিতে ওয়ারিশান মূলে আমাদের অংশ রয়েছে। সে আমাদের পাওনা অংশ বুঝিয়ে দিচ্ছে না। তাই জমি চাষাবাদে বাধা দিয়েছি। এতো দিন সে আমাদের জমি ভোগ-দখল করেছে। আমাদের জমি তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। পুরনো কাগজপত্র ঘেটে সব জানতে পেরেছি। তাদের নামে হওয়া রেকর্ড ভাঙার জন্যও মামলা করব।’

কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নেত্রকোনার কেন্দুয়া,জমি বিরোধের জেরে
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close