বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবি

 মেধাক্রম নিয়েও ভর্তি হতে পারেনি দুই শিক্ষার্থী 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম থাকার পরও এক বছরের বেশি সময় পার হলেও নানা জটিলতায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এখন পর্যন্ত ভর্তি হতে পারেনি দুই শিক্ষার্থী। এমনকি ফাঁকা আসনের বিপরীতে ভর্তি বা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ওই শিক্ষার্থাদের।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইনকিয়াদ হক কারিব বলেন, আমি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ অধিভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৭ দশমিক ৫০ পাওয়ার পর ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে তারা মেধা তালিকা প্রকাশ করে। তবে আমাদের কাক্সিক্ষত মেধাক্রম থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণ আসন পূর্ণ না করে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট করলে গত বছরের নভেম্বরে ফাঁকা আসনের তালিকা প্রকাশ করাসহ সেসব আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এর পর পরই এ আদেশ সম্বলিত কাগজপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও তারা হাইকোর্টের নির্দেশ মানছেন না। বশেমুরবিপ্রবিতে ফাঁকা ৩৫ আসনের বিপরীতে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার কথাও জানান তিনি।


  • ৩৫ আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ
  • ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান জানান, তারা বশেমুরবিপ্রবির সিরিয়ালে আসেনি

শিক্ষার্থী ইমরান হাসান জানান, গত বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৩ দশমিক ২৫। এরপর ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে মেধাক্রম থাকার পরও সব আসন পূরণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রিটের কপি নিয়ে গেলে তারা ভর্তি নিতে রাজি হননি। এছাড়া ডাকযোগে রায়ের কপি সম্বলিত ভর্তির সুযোগ প্রদানের আবেদন পাঠালেও এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব পাননি বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষের আইনজীবী এ.বি.এম ওয়ালীউর রহমান খান জানান, এটি একটি ন্যাচারাল জাস্টিসের মধ্যে পড়ে। মানবিক দিক বিবেচনা করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা থাকলে তাদের ভর্তির সুযোগ দিতে পারে।

বশেমুরবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান জানান, মিটিং করে ভাইস-চ্যান্সেলরের রুমে ডেকে তাদের কেন ভর্তি করা যাচ্ছে না তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের একজনের সিরিয়াল ১৩ হাজার, অন্যজনের ৯ হাজার। বশেমুরবিপ্রবির সিরিয়াল গেছে ৫ হাজার পর্যন্ত। তাহলে তারা কীভাবে ভর্তি হবে। হাইকোর্ট বলেছেন মেধা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। তারা তো মেধায় আসেনি।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বশেমুরবিপ্রবি,ভর্তি,শিক্ষার্থী,মেধাক্রম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close