রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

রৌমারীতে বেশি দাম পেয়ে বাদাম চাষিরা খুশি

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের রৌমারীর চরাঞ্চলে অনাবাদী জমিতে বাদাম চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। এ মৌসুমে ১৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়। চাষ হয়েছে প্রায় ১৬৫ হেক্টর। এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বন্দবেড়, চরশৌলমারী, ঘুঘুমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের চরগুলো গিয়ে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে বাদাম আর খেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ কৃষক বাদাম তোলার কাজে ব্যস্তসময় পার করছেন। চরাঞ্চলে বাদামের মৌসুম শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। বাদম তোলা ও মৌসুম শেষ হয় ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে।

চরশৌলমারী গ্রামের কৃষক জয়নাল হক জানায়, চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসারদের সহযোগিতায় ও পরামর্শে বাদাম চাষ করেছেন। বোনা থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এ বছর বাজারে কাচা বাদামের দাম তিন হাজার ৯০০ টাকা, শুকনা বাদাম ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর বাদামের দাম ভালো থাকায় লাভ হয়েছে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা।

প্রতি বছর বাদামের চাষাবাদ করেন ঘুঘুমারী গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, উপসহকারী আব্দুল রউফ এর পরামর্শ নিয়ে আমি প্রতি বছর বাদামের চাষাবাদ করি। এ মৌসুমে আমি ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করি। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাদামের অনেক বেশি ফলন হয়েছে।

বন্দবেড় ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলন, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় বাদামের চাষ অনেক বেশি হয়েছে। আমরা বাদাম চাষের জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী বলেন, এ মৌসুমে বাদাম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬০ হেক্টর জমি ও লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হয়েছে প্রায় ১৬৫ হেক্টর। স্থানীয়ভাবে উন্নত জাতের বাদাম বারি-৬ বারি-৮, বারি-৯ ও আবওহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবং পোকার আক্রমণ না করায় এবারে ফলন ভালো হয়েছে। আরো কীভাবে বাদামের চাষাবাদ ভালো করা যায় এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাদাম চাষের জন্য কিছু কৃষকদের মাঝে বাদামবীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রামের রৌমারী,চরাঞ্চলে বাদাম চাষ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close