ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রক্ষক যখন ভক্ষক

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মন্দাকিনী বিটের কিছু অংশ ফটিকছড়ি উপজেলা ও বেশ কিছু অংশ হাটহাজারী উপজেলায় বিস্তৃত। এটি চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন বন বিট। পাহারা দিয়ে যিনি বন রক্ষা করবেন তিনিই বিক্রি করছেন বন। উপজেলার হাটহাজারী ধলই ইউনিয়ন ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী বিটের সরকারি বনায়ন বিক্রির এমন অভিযোগ উঠেছে বন প্রহরী জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শী সোলেমান মিয়া (৬০), জয়নাল (৩২), আলাউদ্দিন (৩৩), গাছ ক্রেতা মামুন, জাকির হোসেন ও আবুল হোসেনসহ অনেকে জানান, ৩১ জানুয়ারি আমরা একটি দোকানে বসে ছিলাম। গাছ বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার বিভেদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গাছ ক্রেতারা তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় বন প্রহরী জিয়াউল হক দৌড়ে পালাচ্ছিলেন। দোকানে আজম মেম্বারও ছিলেন। জিয়াউল হক বিষয়টি তাকে জানান। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে তিনি গাছ বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. আলাউদ্দিন বলেন, জিয়াউল হক চৌধুরী নিজেকে বিট অফিসার পরিচয় দেন। আমার সামনে গাছ বিক্রির জন্য মামুনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজম উদ্দিন জানান, তিনি বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে গোপনে বন বিভাগের গাছ বিক্রি করতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা নেন। এ নিয়ে পাওনাদারদের সঙ্গে তার বিভেদ সৃষ্টি হয়। পাওনাদাররা তাকে ধাওয়া করলে আমি তাকে রক্ষা করেছি। ৪ ফেব্রুয়ারি তার ফেলে যাওয়া গাড়িটি আমি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে বুঝিয়ে দিয়েছি।

ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের আজিজ বলেন, বন প্রহরী জিয়াউল হক চৌধুরীকে চাঁদা দিতে দিতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সকালে সে খালি পকেটে বের হবে, দিন শেষে ভরা পকেটে বাসায় যাবে। গাছ বিক্রির টাকা, বালুর টাকা সব তাকেই দিতে হবেই।

স্থানীয় বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ডিএফও বিষয়টি জানেন। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চট্টগ্রাম,হাটহাজারী,মন্দাকিনী,ফটিকছড়ি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close