আশিক সরকার, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ)
কামারখন্দে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়াল
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পুরো মাঠ ছেয়ে গেছে হলুদের চাঁদরে। এই সুযোগে সরিষার খেত থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৌয়াল। উপজেলার রসুলপুর, চৌবাড়ি, গাড়াবাড়ী, দসশিকাসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে বসেছে মধু সংগ্রহের বাক্স। ফসলের জমির পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালরা। বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে।
তবে মধু সংগ্রহের পর দেখা যাচ্ছে আসল সমস্যা। এই মধু স্থানীয় বাজার অথবা অন্য কোথায় নিয়ে গেলে সেই মধুকে ভেজাল বলে আক্ষায়িত করছে ক্রেতারা। এতে করে মধু বিক্রি করতে চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে মৌয়ালদের।
মৌয়াল ইয়াছিন, সিয়াম, মারুফ জানান, সেই ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর কামারখন্দের এই এলাকায় মধু সংগ্রহ করতে আসেন তারা। এবছর তাদের চাহিদা প্রায় ৫০০ কেজি। তাদের আশা চাহিদার চাইতে বেশি মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হলো বিক্রির সময়। এই মধু বাজারে নিয়ে গেলে ক্রেতা ভেজাল বলে আক্ষায়ীত করে। পাশাপাশি দামে অনেক সস্তায় বিক্রি করতে হয়। এর জন্য অবস্য দায়ী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তবে খাঁটি মধু ক্রেতার হাতে তুলে দিয়ে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তারা। ভ্রাম্যমাণ এই খামারে ২৮০-৩০০ টাকায় এই মধু বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নিলে ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, তাদের কথা বিশ্বাস করা দুস্কর, দুই একজন ছাড়া সব ব্যবসায়ীই সমান। মধুতে কখন ভেজাল মেশাবে কেউ টেরই পাবে না। তা না হলে কি মধুর দাম এত কম হয়? আমরা অন্য সময় মধু ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা কেজি কিনে থাকি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ বলেন, উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৬০৭ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কামারখন্দে যেসব মৌয়ালরা সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেেছ তাদের এ বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষনের পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যে উৎপাদিত মধু বিক্রির লক্ষ্যে সঠিক বাজারজাতকরণে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।