সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০১ ডিসেম্বর, ২০২২

অপ্রতুল বরাদ্দে এমপির ভাগ, কম্বল ফেরত  ইউপি চেয়ারম্যানদের

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকারি বরাদ্দ করা কম্বল ফেরত দিয়েছেন ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। অপ্রতুল বরাদ্দের মধ্যে আবার স্থানীয় এমপির ভাগ দেওয়ার অলিখিত নির্দেশে চেয়ারম্যানরা এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বরাদ্দ করা কম্বলগুলো ভ্যানগাড়ি যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফেরত নিয়ে আসা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের গোডাউনে কম্বলগুলো রাখা হয়।

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকারি বরাদ্দ করা কম্বল ফেরত দিয়েছেন ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বরাদ্দ করা কম্বলগুলো ভ্যানগাড়ি যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফেরত নিয়ে আসা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের গোডাউনে কম্বলগুলো রাখা হয়।

এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের শীতার্তের জন্য ৩৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন আমাদের জানান যে এমপির প্রতিটি ইউনিয়নের বরাদ্দ থেকে ২০০ পিস করে কম্বল নিজে বিতরণের জন্য চেয়েছেন। তারা আরো জানান, বিপুলসংখ্যাক জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ৩৫০ পিস কম্বল আমরা বরাদ্দ পেয়েছি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার যদি সেখান থেকে এমপিকে ২০০ পিস দেওয়া হয় তাহলে আমরা কীভাবে মানুষের মধ্যে এই অল্পসংখ্যক কম্বল বিতরণ করব। তাই ফেরত নিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে শাহজাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন বলেন, চলতি শীতকাল উপলক্ষে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ইউএনও প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ৩৫০ পিস করে কম্বল বিতরণের জন্য দেন। পরে আমাদের জানানো হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রতিটি ইউনিয়নে নিজে বিতরণের জন্য ২০০ পিস কম্বল চেয়েছেন। আর আমাদের বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে ১৫০ পিস কম্বল।

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা মনে হয় জনপ্রতিনিধিও নই, মনে হয় আমাদের ইউনিয়নে দরিদ্র, বৃদ্ধ ও শীতার্ত মানুষ নেই। তাই আমাদের সব কম্বল ফেরত দেওয়া হলো।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য কম্বল নিজ হাতে বিতারণ করতে চেয়েছেন কি না তার সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিনের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কম্বল
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close