জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যৌবনে ও তার রাজনৈতিক জীবনে সংস্কৃতিকে ভালোবাসতেন। সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তিনি সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু গোটা জাতিকে সংস্কৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছিলেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর সংস্কৃতি চর্চাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা এখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখনো তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। তারা মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি দেশের সংস্কৃতিমনা ও জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সাঁথিয়া গ্রাম থিয়েটারের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী লোকনাট্য সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথাগুলো বলেন শামসুল হক টুকু।

সাঁথিয়া থিয়েটারের সভাপতি আব্দুদ দাইনের সভাপতিত্বে ও রতন দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। একইভাবে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল।

তিনি বলেন, আবহমান বাংলার বাউল গান, যাত্রাপালা, জারি গানসহ পুরাতন সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাম থিয়েটারের আয়োজনে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হচ্ছে।

এ সময় গ্রাম থিয়েটারের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী, সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান আলী খান বক্তব্য রাখেন।

এর আগে জাতীয় সংগীত ও মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে সাঁথিয়া গ্রাম থিয়েটারের শিল্পীরা সংগীত ও নাটক পরিবেশন করেন।

পিডিএস/মীর