reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ নভেম্বর, ২০২২

বললেন বীর বাহাদুর উশৈসিং

‘পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা কাজে লাগানো হবে’

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী পাহাড়ি অঞ্চলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা কাজে লাগানো হবে। পাহাড়ে ফলের বাগান করে পার্বত্য জনগণ স্বাবলম্বী হতে পারবে। কফি, কাজু বাদাম ও তুলা চাষ পার্বত্য অঞ্চলের জন্য সম্ভাবনাময় কৃষি পণ্য হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাতছড়া ইউনিয়নের থলিবাড়ী এলাকায় কফি ও কাজু বাদাম বাগান পরিদর্শন ও গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত অডিটোরিয়াম ভবন উদ্বোধন শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) ইফতেখার আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান, গুইমারা ইউএনও মুতাসেম বিল্লাহ, রামগড় ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যবাসীদের ভালোবাসেন বলেই খাগড়াছড়ি জেলাতে ৭ নভেম্বর ৪২টি সেতু ও সড়কের উদ্বোধন করেছেন। তিনি আস্থার সাথে বলেন, পার্বত্য তিন জেলা ফলনের দিক থেকে বাংলাদেশ একদিন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠবে। পার্বত্য ভূমির ফসলে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ হবে একদিন। জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়া নিশ্চিত হবে।

মন্ত্রী পাহাড়ি অঞ্চলে ফল বাগান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। শুধু তাই নয়, দুই পাহাড়ের মাঝে বাঁধ দিয়ে পানি সংরক্ষণ করে মাছ চাষের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগের কথা জানান তিনি। বলেন, সমাজের সব ভালো কাজগুলো পরিকল্পিতভাবে করলে বাংলাদেশও উন্নয়নের দিকে এগোবে।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পুরুষের পাশাপাশি পাহাড়ি নারীরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ছাত্রছাত্রীদের বিনামূলে বই বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা অব্যাহত রেখেছেন। এর আগে কোনো সরকারই দেশের নাগরিকদের এতো সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করেনি।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য তিন জেলার ২৬টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নাগরিকদের উন্নয়ন সেবা পৌছে দিয়েছে। সরকারি সকল অনুদানগুলো নিজের ও পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী ভিজিএফ অনুদান গ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ভিজিএফ-এর চাল বাইরে কম টাকায় বিক্রি না করে নিজের পরিবারের জন্য তা সংরক্ষণ করুন।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, আগে পার্বত্য এলাকায় কোনো মেডিকেল কলেজ ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পার্বত্য জেলাগুলোতে থানা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ সকল নাগরিক সুবিধা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। বীর বাহাদুর উশৈসিং সকলকে সাশ্রয়ী ও সঞ্চয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর তিনি গুইমারা বড় পিলাক বাজার-সংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, খাগড়াছড়ির সহায়তায় ৯০টি পরিবারের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্বোধন করেন। এছাড়া মন্ত্রী গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপকারভোগীদের মাঝে ৪০টি সেলাই মেশিন, ৪০টি ছাগল, ৪০টি কৃষি উপকরণ স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন।

এর আগে বীর বাহাদুর উশৈসিং খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার মহামুনি বৌদ্ধ বিহার অনাথ আশ্রম নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন এবং রামগড় উপজেলার মহামুনী বৌদ্ধ বিহার ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন। এছাড়া একই দিনে মন্ত্রী রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পার্বত্য মন্ত্রী,বীর বাহাদুর উশৈসিং,মতবিনিময় সভা,উন্নয়ন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close