টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ০৩ অক্টোবর, ২০২২

টঙ্গীতে ছুরিকাঘাতে হোটেল কর্মচারী হত্যাসহ দুই মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি।

গাজীপুরের টঙ্গীতে পৃথক ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রবিবার রাতে ও সোমবার এসব ঘটনা ঘটে।

রবিবার রাত সাড় ৯টায় টঙ্গী বাজারে মা মিষ্টান্ন ভান্ডারে ছুরিকাঘাতে ওই হোটেলের কর্মচারী মোস্তফাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় খাইরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোস্তফা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার নয়নপুর গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে।

জানা যায়, খাইরুল ইসলাম বুলবুল নামে এক যুবক মা মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকান থেকে মিষ্টি কিনে গাজীপুর ও সাভারে বিভিন্ন দোকানে সাফলাই দিত। গত চার দিন আগে কর্মচারী মোস্তফার কাছ থেকে মিষ্টি কিনে নিয়ে যায় খাইরুল। রবিবার রাতে ওই মিষ্টি ফেরত দিতে যান তিনি। মোস্তফা মিষ্টি ফেরত না নিতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খাইরুল মিষ্টির দোকানের ছুরি দিয়ে মোস্তফার ঘাড়ে কোপ দেয়। স্থানীয়রা মোস্তফাকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপতালে ও পরে উত্তরার লেক ভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে সোমবার সকালে টঙ্গী স্টেশন রোডের মুরকুনের হাতিম পলিমার কারখানা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কারখানার শ্রমিক মুজিবুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দেওয়া জন্য কারখানায় প্রবেশ করেন তারা। কারখানা মেশিনের কাজ শুরু করার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ অজ্ঞাত ওই যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।

এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বনমালায় রেলগেট পারাপারের সময় মফিজ উদ্দিন (২৫) নামে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মফিজ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাতারবনর ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

টঙ্গী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ বলেন, রেললাইন পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে পড়ে ডান পা বিচ্ছিন্ন ও বাম পা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় মফিজের। ‘৯৯৯’ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর শৈলারগাতীয় জান্নাতুল ফেরদৌস (২০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী দেলোয়ার হোসেন জব্বার পলাতক রয়েছে।

বাড়ির মালিক ইয়াছিন মিয়া জানান, গত মাসের ২৫ তারিখে জব্বর রুম ভাড়া নিতে যান। রুমে প্রবেশের কথা বলে ১০০০ টাকা অগ্রীম দেন তিনি। রবিবার রাত ১০টার দিকে ওই দম্পতি বাসায় প্রবেশ করে। সোমবার দুপুরের ৩টার দিকে জব্বর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান তার স্ত্রীর কী যেন হয়েছে। তাকে গিয়ে যেন সাহায্য করে। জব্বরের কাছ থেকে এ ঘটনা শুনে ইয়াসিন তৃতীয় তলায় ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন জান্নাতুল ফেরদৌস মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে থানায় খবর দেন তিনি।

ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, হাতিম পলিমার ও গৃহবধূ হত্যা ঘটনার রহস্য উন্মোচন ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করেছে। আর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
টঙ্গী,ছুরিকাঘাত,মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close