খুলনা ব্যুরো

  ০৪ আগস্ট, ২০২২

খুলনায় চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে তিনগুন 

ফাইল ছবি

প্রচণ্ড তাপদাহ এবং লোডশেডিংয়ের করণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। মানুষ ভিড় করছে চার্জার ফ্যানের দোকানে। আর সেই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা চার্জার ফ্যানের সংকট দেখিয়ে দাম দুই থেকে তিনগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

প্রকৃতির নিয়মে এখন শ্রাবণ মাস। স্বাভাবিক নিয়মে এখন বৃষ্টির সময়। কিন্তু কোথাও বৃষ্টি নেই। তীব্র দাবদাহের কারণে নাকাল জনজীবন। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে চলছে লোডশেডিং। বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা। তাদের গরমের হাত রক্ষা করতে চার্জার ফ্যানের দোকানে ভিড় করছেন নগরবাসী। চার্জার ফ্যানের বিক্রিরও বেড়েছে। চাহিদা মতো তা সরবরাহ করতে দোকানিরা হিমশিম খাচ্ছেন। ফুরিয়ে গেছে অনেক দোকানের চার্জার ফ্যানের স্টক। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনগুন পর্যন্ত। নগরীর হার্ডমেটাল গ্যালারী, ডাকবাংলা মোড় ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটের ব্যবসায়ী খায়রুল বাসার বলেন, গরমের শুরু থেকে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। সপ্তাহ ধরে ক্রেতারা চার্জার ফ্যানের জন্য দোকানে ভিড় করছেন। সরবরাহ কমে গেছে। চার্জার ফ্যানের সংকট দেখা দিয়েছে। যা আছে তা খুব দামী।

একই মার্কেটের অপর ব্যবসায়ী বলেন, চার্জার ফ্যান মূলত আসে চীন থেকে। শুল্কের হার বেড়েছে। বেড়েছে ডলারের দাম। বেড়েছে পরিবহন খরচ। ফ্যানের চাহিদার কথা বললে তারা নির্ধারিত দাম থেকে আরও পাঁচশ’ বা এক হাজার টাকা বাড়িয়ে বলে। সর্বশেষ লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারা ফ্যান কিনছেন তাদের সাধ্য অনুযায়ী।

ডাকবাংলা মোড়ের ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ বলেন, আগে চার্জার ফ্যানের চাহিদা এমন ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে লোডশেডিং ও গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে। দোকনে ফ্যান নেই। পাঁচশ’ টাকার চার্জার ফ্যান এক হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। যেহেতু বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে।

হার্ডমেটাল গ্যালারীর ব্যাবসায়ী ফিরোজ বলেন, চার্জার ফ্যানের দাম অস্বাভাবিক আকারে বেড়েছে। ঢাকায় অর্ডার দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। ৩৫শ’ টাকার ফ্যান ৬ হাজার ২শ’ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

ক্রেতা গাজী খলিলুর রহমান খালিশপুর এলাকা থেকে হার্ডমেটাল গ্যালারীতে এসেছিলেন চার্জার ফ্যান কিনতে। দাম শুনে তিনি হতবাক। কয়েকটি দোকান ঘুরেছেন। সাধ্যের সাথে মিলছিল না। অনেক দর কষাকষির পর ১২ ইঞ্চির একটি ফ্যান কিনেছেন। স্বাভাবিক সময়ে ১২০০ টাকায় কিনলেও এখন তাকে ৪ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।

আযমখান কর্মাস কলেজের শিক্ষার্থী তাইফুজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তারপর চলছে তীব্র লোডশেডিং। গরমে লেখাপড়া করা দায় হয়ে পড়েছে। গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি একটি চার্জার ফ্যান কিনেছেন। ব্যবসায়ীরা সংকটের কথা জানিয়ে পাঁচশ’ টাকার ফ্যান ১ হাজার টাকা নিয়েছে। যে যার মতো করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চার্জার ফ্যান,খুলনা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close