গলায় বিশাল আকৃতির একটি সাপ ঝুলিয়ে বরগুনার আমতলী পৌরশহরের প্রতিটি দোকানে গিয়ে এক সাপুড়ে বোনের বিয়ের কথা বলে চাঁদাবাজি করতে দেখা গেছে আলাউদ্দিন (৫০) ও তার ছেলে সজিব (১৫)-কে।

রবিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌরশহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাপুড়ের ছেলে সজিবের গলায় একটি বিশাল আকৃতির দাঁড়াস জাতের সাপ ঝুলিয়ে এক সাপুড়ে বোনের বিয়ের কথা বলে চাঁদাবাজি শুরু করে। ওই চাঁদাবাজিতে সে তার বাবাকে সহযোগিতা করে। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরে টাকা নিচ্ছে গলায় সাপ ঝুলানো ওই কিশোর। প্রতি দোকানে ১০ টাকা থেকে শুরু ২০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলছে তারা। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তার ক্যাশ টেবিলের উপর সাপটি ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে সে ভয়ে চাঁদার টাকা পরিশোধ করে। পৌর শহরের সড়কে চলাচলরত অটোরিকশা থেকেও সাপের ভয় দেখিয়ে টাকা নিচ্ছে ওই সাপুড়ে বাপ-বেটা।

পৌর শহরে মুদি দোকানি শ্যামল কর্মকার ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ফনি বাবু বলেন, বিশাল আকৃতির একটি সাপ গলায় ঝুলিয়ে দোকানের সামনে এসে সাপুড়ে বোনের বিয়ের কথা বলে চাঁদা চায় এক কিশোর ও তার বাবা। টাকা না দিলে দোকানের ক্যাশ টেবিলের উপর সাপটি ছেড়ে দেয়। ভয় পেয়ে প্রথমে ১০ টাকা দিয়েছিলাম, সে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ২০ টাকা করে দিয়েছি।

অটো রিকশাচালক জাফর মিয়া বলেন, সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে আমার সামনে বড় একটি সাপ ঝুলাতে থাকে। বাধ্য হয়ে আমি ১০ টাকা দিয়েছি। এত বড় সাপ দেখে ভয় পেয়ে অনেকেই তাদের টাকা দিছে।

গলায় সাপ ঝুলানো কিশোর সজিবের কাছে প্রথমে নাম-পরিচয় জানতে চাইলে সে পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে কিশোর সাপুড়ের বাবা আলাউদ্দিন তাদের বাড়ি কুমিল্লায় বলে জানান।

তারা পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর থেকে ওই সাপ নিয়ে আমতলীতে এসেছেন। সাপের ভয় দেখিয়ে এভাবে কেন টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তারা জানায়, এক সাপুড়ে বোনের বিয়ের জন্য তারা সর্দারের হুকুমে চাঁদা তুলছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, সাপের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। সাপ দিয়ে টাকা উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।