হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
‘সকালে যে জমিতে গরু ঘাস খেয়েছে সে জমিতে সন্ধ্যায় হাঁটু পানি’
সিলেট সুনামগঞ্জের মত নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বন্যার পানি বেড়ে চলছে। যে জমিতে সকালে গরু ঘাস খেয়েছে সেই জমিতে এখন সন্ধ্যায় হাঁটুর উপরে পানি। এমনি করে যদি পানি আব্যাহত থাকে তাহলে কেন্দুয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলে জানান বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন।
এরই মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলার ১০ গ্রামসহ একটি গুচ্ছগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এমনি করে যদি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে রবিবার উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকবে। এতে করে ঐ সব গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।
শনিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যম ও স্থানীয় লোকজন মাধ্যমে জানা যায়, প্রবল বর্ষণে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া, মামুদপুর, চারিতলা, হারলিয়া, নয়াপাড়া, চৌকিদারা, মুহুরিয়া, বড়তলা গ্রামের গুচ্ছগ্রাম, মোজাফরপুর গ্রামের বিভিন্ন অংশ ও গগডা গ্রামের দক্ষিণ অংশ এবং কান্দিউড়া ও নওপাড়া, ইউনিয়নের বেশ কয়েক গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে।
হাওড়সংলগ্ন সব রাস্তা ও প্রাইমারি স্কুল পানিতে তলিয়ে গেছে। গুচ্ছগ্রামের ২৩টি পরিবারের অবস্থা নাজুক। এসব এলাকার বাড়িঘর, স্কুল ও গুচ্ছগ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া বন্যার পানিতে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদিপশুর আশ্রয় ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ১৭০টি মৎস পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান কবির জানান, প্রায় ১৫ হেক্টর আউশধানী জমি তলিয়ে গেছে। সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
বন্যার্তদের পাশে থাকতেও সহযোগিতা করতে নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল তারা নির্বাচনী এলাকায় এসেছে।