গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
পলাশ হত্যাকাণ্ডের নয় মাস, শনাক্ত হয়নি জড়িতরা
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মইনুল হাসান পলাশ (৩০) হত্যা মামলার নয় মাস পার হলেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
ফলে পলাশ হত্যার বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্বজনেরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করে দ্রæত বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
পলাশ গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি উপজেলার চর শ্রীরামপুর বাজারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতেন।
গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে দুবৃর্ত্তরা ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পলাশের ভাই নাইমুল হাসান রুবেল বাদী হয়ে নিহতের চাচাতো ভাই কাজলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এই মামলায় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
নিহত পলাশের স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, মামলার সন্দেহভাজন আসামিরা নিহত পলাশের চাচাত ভাই, স্বজন ও প্রতিবেশী। তবে পলাশের চাচাত ভাই কাজলের দিকে পরিবারের সন্দেহ বেশি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাজল এ হত্যার পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন।
নিহত পলাশের চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের তিন মাস আগে পলাশের এক ভাতিজাকে মারধর করে কাজল। পলাশ প্রতিবাদ করলে পরে গ্রাম্য সালিশে কাজল ক্ষমা চান। এরপর থেকে পলাশের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কাজল।
পলাশের স্ত্রী লিমা আক্তার ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ দ্রæত মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনুক এটাই দাবি।
জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার এজাহারভ‚ক্ত আট আসামির মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়ার চেষ্টা চলছে।