বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্মানাধীন ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধে ফাঁটল ও প্রমত্তা বলেশ্বর নদের হঠাৎ ভাঙ্গনের ফলে প্রায় এক বিঘা জমি গাছপালাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে, নির্মাণকৃত বাঁধ মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহার করায় বাঁধের অস্তিত্ব নিয়ে শংশয় প্রকাশ করেছেন বাঁধ পার্শ্ববর্তী এলাকার বসবাসরত বাসিন্দারা।

বুধবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের গাবতলা এলাকার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকার মূল বাঁধে প্রায় ২০ ফুট দীর্ঘ এক ফাঁটল দেখা গেছে। পাশাপাশি গাবতলা এলাকার বাসিন্দা সবেদ আলী খাঁনের গাছপালাসহ প্রায় এক বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে সিডর ও আয়লা বিধ্বস্ত মরণপুরী বলে খ্যাত গাবতলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের লোকজনের মাঝে চরম আতংঙ্ক বিরাজ করছে।

দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জাকির হাওলাদার বলেন, উপজেলার সাউথখালী বাসীর প্রাণের দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। বাঁধ নির্মাণে সরকার প্রচুর বরাদ্ধ দিলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজিতে বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহার ও নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করায় এ বাঁধে ফাঁটল ও বাঁধ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বাঁধের অস্তিত্ব নিয়েও শংশয় প্রকাশ করেন এ জনপ্রতিনিধি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, তিনি বিষয়টি শুনে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

সিইআইপি প্রকল্পের ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রাকিবুল ইসলাম নাহিদ জানান, বেড়িবাঁধ ফাটলের ঘটনা শুনে ১২ এপ্রিল সকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ফাঁটল মেরামত করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।