কে এম রুবেল, ফরিদপুর

  ০৮ মে, ২০২২

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন, আলোচনায় যারা

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন।

ইতোমধ্যে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে উঠছেন নানামূখি তৎপরতায়। আর সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে।

সূত্র বলছে, জেলার শীর্ষ দুটি পদে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীতদেরই ঠাঁই হবে। এজন্য শেষমুহুর্তে এসে তারা প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে নাম লেখাতে উদগ্রীব।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন পদপ্রত্যাশীর নাম।

জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার মহাসড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও তোরণ স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন পোস্টার লাগছে শহরের আনাচেকানাচে-দেয়ালে। অনেকে পছন্দের নেতাদের নামে এসব লাগিয়ে নিজেদের প্রচারও করছেন।

জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়িয়ে চায়ের আড্ডা কিংবা চলতি পথের আলাপেও উঠে আসছে এ প্রসঙ্গ। এ পর্যন্ত তৃণমূলে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, আরেক সহ-সভাপতি শামীম হক, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া এবং ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম ব্যক্তিত্ব সাবেক সংসদ সদস্য ইমামউদ্দিন আহমেদের জেষ্ঠ্য সন্তান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম। সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের এক নং যুগ্ন সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপপরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সামসুদ্দিন মোল্লার পুত্র কামরুজ্জামান কাফি, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, আওয়ামী লীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু।

এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের নামেও বিলবোর্ড ও ফেস্টুন করা হয়েছে।

নানা হিসেবনিকেশ ও মেরুকরণও চলছে পদপ্রত্যাশী এসকল নেতাদের নিয়ে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, স্কুলজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতিতে আসা বিপুল ঘোষ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন পরিচালনার কারণে অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষার আটদিন আগে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়ে একনাগাড়ে চারবছর কারাবন্দি ছিলেন। ৬ দফা আন্দোলনসহ ১১ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্রবিরোধী আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পচাত্তরবিরোধী সামরিক শাসনকালে দীর্ঘদিন তিনি নির্যাতনের শিকার হন। ১৭ বার গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। তার খামার পুড়িয়ে দেয়া হয় বিএনপি আমলে। ফরিদপুরে ফ্রিডম পার্টির সভা করতে এলে কর্ণেল ফারুককে প্রতিহতে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন। এবারের সম্মেলনে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

অন্যদিকে, বর্তমান সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা একজন প্রবীণ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর আইন ল’কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগে ঝেঁকে বসা হাইব্রিডদের অপসারণে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। মোশাররফ অনুসারীরা তার বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালিয়ে তাকে উৎখাত করতে চেয়েছিলো। তিনি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক ধৈর্য্যের পরিচয় দেন এবং তার দায়েরকৃত মামলাতেই ফরিদপুরে আওয়ামী লীগে ঝেঁকে বসা অপশক্তিরা সদলবলে গ্রেপ্তার হয়। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগকে শুদ্ধ করতে তার অবদানও আলোচনায় রয়েছে। পাশাপাশি একজন কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে যোগদানকারী হয়ে ধাপে ধাপে উঠে এসেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন।

দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে তিনি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও নৌকার প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জন্য মাঠেপ্রান্তরে কাজ করেছেন। আবার বিএনপির এজেন্ট হয়ে দলে অনুপ্রবেশকারী বাবরের অপকর্ম ও সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে যেয়ে দলের পদে থেকেও নিগৃহীত ছিলেন। সৈয়দ মাসুদ হোসেন প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে দল পরিচালনা করে গেছেন। আবার শুদ্ধি অভিযানের পর তিনি সকলকে সাথে নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তার সাংগঠনিক যোগ্যতা তাকে এগিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পদে থেকেও সম্পদ অর্জনের মোহ থেকে নিজেকে নিরাপদে রেখেছেন। একজন নিপাট ভদ্রলোক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সকল মহলে প্রশংসিত।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীম হক বর্তমানে জেলায় আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি জেলার ক্রীড়াঙ্গণের উন্নয়নে অগ্রণি ভূমিকা রাখছেন। তিনি শেখ রাসেল ক্রিড়া চক্রের সভাপতি। জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে তিনি কাজ করছেন। এবারের সম্মেলন আয়োজনে অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নজরকাড়া মঞ্চ তৈরি করেও তিনি আলোচনায় এসেছেন।

যুবলীগের সদ্যবিদায়ী কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দ্বায়িত্ব পালনের পর কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও সফলতা দেখিয়েছেন। এলাকায় তারও শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।

এম এম মোশাররফ হোসেন তার জীবনে রাজনৈতিকভাবে ৪৫ বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন আওয়ামী লীগের র সঙ্গে। তার পরিবার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দীর্ঘদিন সময়। তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা। দলের জন্য যেকোনো প্রশ্নের নিবেদন থেকেছেন তিনি ও তার পরিবার। ফরিদপুরের শ্রমিক রাজনীতির সংশপ্তক হিসেবে পরিচিত মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলুর সহধর্মিনী বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ঝর্ণা হাসানের নাম শোনা যাচ্ছে এবারের সাধারণ সম্পাদক পদে। গৃহবধু থেকে স্বামীর মৃত্যুর পর রাজনীতিতে নেমে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি। জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে কাজ করছেন গণমানুষের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে জীবনের বাকি সময় থাকতে চান রাজনীতির মাঠেই। এজন্য কাজ করে চলেছেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, সাবেক সংসদ সদস্য ও সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম মরহুম অ্যাডভোকেট সামসুদ্দিন মোল্যার সন্তান কামরুজ্জামান কাফিকে এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাইছেন অনেকে। কামরুজ্জামান কাফি বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য। এর আগে তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পারিবারিকভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত কাফি দীর্ঘদিনযাবত ফরিদপুরে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।

ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোসও রয়েছেন আলোচনায়। থানা পর্যায় হতে রাজনীতি করে আসা অমিতাভ বোস অমিতাভ বোস জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন। সর্বশেষ ফরিদপুর পৌর মেয়র পদে তিনি নৌকার প্রার্থী হিসেবে মেয়র হন।

ফরিদপুরে একজন নির্বিবাদ রাজনীতিবীদ হিসেবে পরিচিত মো. লিয়াকত হোসেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও ছিলেন জেলা যুবলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তিনি। প্রচারবিমুখ এই নেতা শহরের সকল মহলে একজন গ্রহণযোগ্য রাজনীতিবীদ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। আওয়ামী রাজনীতিকে মনেপ্রাণে ধারণ করে এখনো একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

ছাত্রলীগের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের কালচারাল উইংয়ের সাথে নিবিষ্টভাবে জড়িয়ে ফরিদপুরের রাজনীতিতে একটি পরিচিত মুখ শওকত আলী জাহিদ। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এখন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলার পাশাপাশি হাইব্রিড রাজনীতিকদের হাতেও হামলার শিকার হয়েছেন। মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার রাজনীতিকে ধারণ করা এই নেতাকেও সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান সমর্থকেরা।

তৃণমূলের দ্বায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের মাধ্যমেই দলের নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে। তবে এক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই শেষ কথা। আগামী বছর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এ সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখা। এজন্য তৃণমূলে সময় দেন এবং দল পরিচালনায় সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞরাই দলীয় সভানেত্রীর মনোনীত হবেন এব্যাপারে কারোরই দ্বীমত নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, নেত্রীর প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে বিশ্বাস করি স্বাধীনতার স্বপক্ষের দীর্ঘ সময় ধরে যারা রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে তাদের মধ্য থেকেই এবং পরীক্ষিত দের দিয়েই নেতা নির্বাচন করবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন শেষ করতে চাই। দলের প্রতি তারা দীর্ঘ সময় আনুগত্য তাদেরকে দিয়েই আগামীদিনের কমিটি হবে এমনটিই প্রত্যাশা করি। এমন লোক নিবেন যারা রুবেল-বরকতের মতো আচরণ করবে। আগামী দিনের নেতৃত্বেতেই আসুক আমরা প্রত্যাশা করি না তিনি চাঁদাবাজ হবেন ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন এমন লোক আমরা চাই না।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ মাচ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন । এর এক বছর পর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফরিদপুর,আওয়ামী লীগ,ত্রিবার্ষিক সম্মেলন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close