সালাহউদ্দিন শুভ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

কমলগঞ্জে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। অসুস্থতার পাশাপাশি শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে নিম্নআয় ও ছিন্নমূল মানুষের জীবন। এছাড়াও সব বয়সী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব।

উপজেলার বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রচণ্ড শীতের কারণে বেশিরভাগ পরিবারের শিশুদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের মাঝেও সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রকোপ বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশির। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা ভিড় জমাচ্ছেন হাসপাতালে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বেশির ভাগ রোগী বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। শিশুদের বেশি ডায়রিয়া ও জ্বর হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ বৃষ্টির পর তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে। এছাড়াও কুয়াশা ও বাতাসের আর্দ্রতা বারতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা জলি আক্তার বলেন, আমার এক বছরের মেয়েটির গত ৫ দিন ধরে ডায়রিয়া ও জ্বর হয়েছে। হাসপাতালে দু’দিন ভর্তী থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যাওয়া পর আবার ডায়রিয়া বেড়ে যায়। চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তার বলেছেন, ঠাণ্ডা থেকে ডায়রিয়া হয়েছে।

শিশু চিকিৎসক ডা.পরিতোষ শর্মা বলেন, অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শিশু ও বয়স্কদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। শিশুদের ডায়রিয়া ভাইরাস হলে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০দিন সময় লাগে ভালো হতে। সবসময় গরম কাপড় পরে ঠাণ্ডাজনিত জ্বর, সর্দি ও কাশি থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে। যাদের সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যায় তাদের সব সময় গরম পানি পান ও গরম কাপড় পরে শরীর গরম রাখতে হবে। শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

ঠাণ্ডাজনিত রোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে বেশি রোগী আসছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। যাদের সমস্যা কম তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। যাদের সমস্যা বেশি তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিবারের সবাই শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে। নয়তো এই শীতে বারবার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিশু ও বয়স্কদের।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমলগঞ্জ,মৌলভীবাজার,শীতজনিত রোগ,শিশু,বয়স্ক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close