ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে বসতঘর থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর শ্বশুড়বাড়ি সিংরইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে। গৃহবধূর স্বামী একজন সিএনজি চালক। স্বামী সিএনজি নিয়ে অনেক সময় গভীর রাতে বাড়িতে আসে, এমনিক ভোরেও বাড়িতে আসেন। সেই সুবাধে ওই সিএনজির মালিক সাইকুল ইসলাম চালকের খোঁজে গত শুক্রবার রাত দশটার দিকে গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে আসেন। পরে স্বামীকে না পেয়ে হঠাৎ তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক টেনে হিচঁড়ে বাড়ির পিছনে একটি অটো গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে সাইকুল ইসলামের আরো একাধিক লোক উপস্থিত ছিল। সাইকুল ইসলাম গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক দলবেধে তাকে ধর্ষণ করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়ে।

এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামীর কিশোরগঞ্জ সদর গাইটাল এলাকার মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে সাইকুল ইসলাম (৪০) এবং নান্দাইল উপজেলার দিলালপুর গাগইর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে স্বপন মিয়া (৩৫) ও মেরেঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম নামে তিনজনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার নান্দাইল মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

পরে থানা পুলিশ সাইকুল ইসলাম ও স্বপন মিয়া নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে অপর আসামি পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নান্দাইল থানার ওসি তদন্ত উবায়দুর রহমান জানান, মেডিকেল টেস্ট করার জন্য গৃহবধূকে হাসপাতালে ও গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।