কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাক-ঢোলের হাট। প্রতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা সদরের পুরাতন বাজার মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন জায়গায় বসবে এই হাট।

করোনা মহামারির কারণে গত বছর ছিলনা পূজার জাঁকজমক। ফলে ঢাক-ঢোলের হাটেও ছিলনা বাদ্যিযন্ত্রীদের সরব আনাগোনা। এ বছর করোনা মহামারির প্রভাব থাকলেও সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক গতিতে। পূজামণ্ডপগুলো ইতোমধ্যে সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে। লগ্ন শুরু হলেই ঢাক-ঢোলের তালে পূজারিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে পূজামণ্ডপগুলো। তাই দূর-দূরান্ত থেকে ঢাক-ঢোল, সানাই, বাঁশি নিয়ে বাদ্যিযন্ত্রিদের আগমন ঘটেছে।

রবিবার ও সোমবার ২দিনের এই হাট থেকে পূজা শুরু হয়ে বিসর্জন পর্যন্ত পূজার কার্যাদি সম্পন্ন করে দেওয়ার শর্তে আয়োজকরা তাদের পছন্দমত বাদ্যিযন্ত্রীদের ভাড়ায় নিয়ে যাবেন।

সাধারণত একটি ঢাক ১২ থেকে ১৫ হাজার, ঢোল ১০-১২ হাজার, বাঁশি প্রকারভেদে ১০থেকে ২০ হাজার, ‘ব্যান্ডপার্টি’ছোট ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার এবং বড় ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ভাড়া হয়।

প্রায় ৩শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী হাট সম্পর্কে দেশের প্রায় সর্বত্রই সুনাম রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূজার আয়োজকরা ভাল মানের বাদক নিতে ছুটে আসেন এই হাটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, পূজা আয়োজক ও আগত বাদ্যিযন্ত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদারকি করা হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, প্রায় ৩ শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাট কটিয়াদী উপজেলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।