মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া)
গরমে বিক্রি বেড়েছে তালপাখার
বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রচণ্ড হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী। বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে তাই মানুষ এখন তালপাতার পাখা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাখা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। শুধু উপজেলা সদরেই নয়, বিভিন্ন ইউনিয়নের তালপাখার দোকানগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। চাহিদা বাড়ায় পাখার দামও বেড়েছে। বছরের এ সময়ে পাখার চাহিদা থাকে। চৈত্র থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত বিক্রির মৌসুম হলেও চৈত্র ও বৈশাখেই পাখা বিক্রির উপযুক্ত সময়। কিন্তু এবার ভাদ্র মাসে অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরম হওয়ায় চাহিদা বাড়ছে তালপাখার।
সান্তাহার সোনার বাংলা বিপণী বিতানের পাইকারি পাখা বিক্রেতা ময়েন উদ্দীন জানান, হাতপাখা বেশি বিক্রি হলেও লাভ হচ্ছে কম। পাখা তৈরি করতে রং, সুতা, বাঁশ,কঞ্চি প্রয়োজন হয়। এসবের দাম বাড়ায় হাতপাখা তৈরিতে লাভ কম হচ্ছে। তালপাখা কাপড়ের তৈরি পাখা ও সুতার তৈরি পাখাও পাওয়া যায়।
পাখা কিনতে আসা স্কুল শিক্ষিকা খোরশেদা খানম জানান, মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। তাই চারটি তালপাখা কিনলাম বাসার জন্য। গরম বেশি হলে বাসার সবাই তালপাখা খোঁজে।
সান্তাহার জংসন স্টেশন সড়কে ভ্রাম্যমাণ তালপাখা বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, এ বছর করোনার কারণে সব ট্রেন বন্ধ ছিল, পাখা বিক্রি করতে পারিনি তেমন। ওই সময়ে প্রচুর পাখা বিক্রি হয়। এখন ট্রেনগুলো আবার চালু হওয়ায় পাখা বিক্রি বেড়েছে। আমার কাছে, ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার তালপাতার পাখা আছে।
পিডিএসও/হেলাল