৪৮ ঘণ্টা পর পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ১৫০ বস্তা চালের পরিবর্তে ভালো চাল পৌঁছেছে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে।

রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে ১৫০ বস্তা চালসহ ৫০৪ বস্তা চাল পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) শাহিনুর রহমান।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন।

জানা গেছে, অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। শুক্রবার ওই ইউনিয়নে বিতরণের জন্য ৬টি ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ৯১০ বস্তা ভাল চাল খাদ্য গুদাম থেকে বের করা হয়। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে একটি সিন্ডিকেট চক্র ৬টি ট্রলির মধ্যে ১টি ট্রলিতে করে সরকারি সীল ছাড়াই ১৫০ বস্তা খাওয়ার অনুপযোগি পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল পাঠায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ওই গুদাম কর্মকর্তাকে অবগত করেন। গুদাম কর্মকর্তার কথা মত ১৫০ বস্তা পচা চাল ফেরত পাঠান ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু মুহুর্তেই চালগুলো গুদাম কর্মকর্তার নয় বলে জানিয়ে দেন ওই কর্মকর্তা। এরপরই শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে সিন্ডিকেট চক্রের লোকজন বেশ তৎপর হয়ে উঠেন। শুক্রবার প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে খবর প্রকাশ হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা পর ১৫০ বস্তা পচা চালের পরিবর্তে ভাল চাল পাঠানো হয়।

হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, শুক্রবার ৯১০ বস্তার মধ্যে ১৫০ বস্তা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল খাদ্য গুদাম থেকে পাঠানো হলে সেই চাল ফেরত পাঠাই। রোববার সেই ১৫০ বস্তা চালসহ ৫০৪ বস্তা (২৫.২ মে.ট) চাল বুঝে পাই।

এ বিষয়ে উলিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১৫০ বস্তা চালের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, ১৫০ বস্তা ফেরত দেয়া চাল গুলো নাকি খাদ্য গুদাম কর্মকতার্র নয়। আমি ইউনিয়ন পরিষদের ও গুদামের রেজিস্টারে কোন গড়মিল পাইনি। তবে মাঝখানে ১৫০ বস্তা পচা চাল কোথা থেকে এসে কোথায় গেল সেটার কোন হদিস মিলছে না। এ বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।

পিডিএসও/ জিজাক