চট্টগ্রাম ব্যুরো
হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার হাটহাজারী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বিষয়টি প্রতিদিনের সংবাদকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় ঘটে। ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যা নিয়মিত চ্যাটিং হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে হাটহাজারীর কনক বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় বাসা ভাড়া করে দেন ফয়েজী।
দীর্ঘ এক বছর বাসার ভাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ফয়েজী। গত বছর হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে খালার বাসায় চলে আসার পরও বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে সুকৌশল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, এক নারী জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নম্বর নয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করার জন্য এসআই মো.মুকিব হাসানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গত ২৬-২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ রাতে থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। হাটহাজারী থানায় ভূমি অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে।
এছাড়া হাটহাজারী থানায় হামলা ও ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ, স্থানীয় অস্ত্র ব্যবহার এবং উপজেলা ডাকবাংলো ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
পিডিএসও/এসএম শামীম