দিনাজপুর প্রতিনিধি

  ১১ আগস্ট, ২০২০

গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর মহাপরিচালকের দুর্নীতি

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৮৫ সালে স্থাপিত হয়। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয় ১৯৮৭ সালে। পরে ২০১৭ সালের গত ২২ অক্টোবর নশিপুর দিনাজপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে। উত্তরবঙ্গের ও গোটা বাংলাদেশের কৃষকের উন্নত বীজ উৎপাদনের জন্যে দেশকে সমৃদ্ধশালীকরণ ও কৃষিবান্ধব হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু উন্নয়নকে ম্লান করে দিয়েছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্তাবাবুরা।

জানা গেছে, USAID প্রকল্পের পিআই কর্তৃক প্রদেয় টাকার পরিমাণ ৬ কোটি ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার। যা ইতোমধ্যে সরকারি রাজস্ব বাজেটের মাধ্যমে উক্ত পরিমাণ বীজ উৎপাদন করা হয়েছে রবি মৌসুমে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষনা ইনস্টিটিউট, নশিপুর, দিনাজপুরে ৭জন ব্রিডার বিজ্ঞানী থাকা সত্ত্বেও ড. মো. এছরাইল হোসেন (নিজে কৃষি প্রকৌশলী) ও ড. বদরুজ্জামান (যিনি মৃত্তিকা বিজ্ঞানী) কিভাবে ব্রিডার বীজ উৎপাদন করবে তা বোধগম্য নয়।

অভিযোগ উঠেছে আত্মসাতের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যা গা শিউরে ওঠার মত ঘটনা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আমিনুর রহমান। সেখানে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জুন মাসে খামারের ভুয়া বিল তৈরি করে শ্রমিকদের সাথে যোগসাজশ করে প্রায় ১০ লাখ টাকা মহাপরিচালক আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগ উঠে।

অভিযোগ রয়েছে, লোকজনবল নিয়োগ, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন এই মহাপরিচালক। এ ছাড়াও প্রশিক্ষণায়তনের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও প্রাচীর নির্মাণ, ডীপ টিবওয়েল, আরএফকিউ প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ, শ্রমিক কল্যাণী, ভুট্টা কেনাকাটা, ভুট্টা শাখার গবেষনা উপকরণ, একক আবাসন ও অফিসার কোয়ার্টার মেরামত, গোডাউন মেরামত ওথ্রোয়িং ফ্লোর, খামারের ড্রেন মেরামতের কথা বলে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ আত্মসাৎ করেন।

সবশেষ আঞ্চলিক গম গবেষণা কেন্দ্র শ্যামপুর, রাজশাহী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইলিয়াছ কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ১১/১২/২০১৮ সালে ড. মো. এছরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে আর এফকিউ এর মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ, মাটি ক্রয়, রিপিয়ারিং, গবেষণা কর্মসূচীসহ বেশ কয়টি প্রকল্পে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালিয়াতি করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. এছরাইল হোসেনের সাথে অফিসে দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমি অসুস্থ্য পরে কথা বলবো বলে লাইনটি কেটে দেন।

সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে এহেন দুর্নীতির বিষয়ে স্থানীয়রা এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে কিছু কর্মকর্তা মহাপরিচালক বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক ড. এছরাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সরাসরি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব (গবেষণা) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দিনাজপুর,মহাপরিচালক,দুর্নীতি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close