রংপুর ব্যুরো

  ০৭ আগস্ট, ২০২০

বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করল ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’

`মোরা এক ঘাটেতে রাঁধি-বারি আরেক ঘাটে খাই ও মোদের সুখের সীমা নাই'। হ্যাঁ, এটাই বেদে সম্প্রদায়ের জীবনচিত্র। বাংলা সিনেমার ধারায় আমরা কিছুটা উপলব্ধি করতে পারি তাদের জীবন। তারপরও সিনেমা আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক থেকেই যায়। অসহায় এই মানুষ গুলোর ঘরে খাবার না থাকলেও মুখে হাসি আর পারস্পরিক বন্ধনই যেনো তাদের বড় সম্পদ। বেদেরা একেকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় তাবু গেড়ে বসবাস করে যাদের আমরা যাযাবর বলে থাকি।

পথে ঘাটে সাপের খেলা দেখিয়ে, বিভিন্ন তাবিজ-ওষুধ বিক্রি করে জীবন চালায় তারা। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় এই মানুষ গুলোর সেই আয় পুরোপুরি বন্ধ প্রায়। ফলে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে এই বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ গুলি।

শুক্রবার বিকেলে তারই একটি অংশ স্থান নিয়েছেন রংপুরের নিশবেতগঞ্জ এলাকায় ঘাঘট নদীর তীরে। রংপুরের অন্যতম সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ সাংগঠনিক কাজে সেদিকে গেলে তাদের এই দূরাবস্থা নারা ব্যাথিত হন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা এই সৈনিকরা। সাথে সাথে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আসেন তারা। তাদের এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসে জার্মান প্রবাসী সৈয়দ শাকিল। তার পরিচালিত ‘Syed Shakil Wealfare Trust’ এবং ‘Asha Hoffnung far Bangladesh e.V.’ অবশেষে এই মানুষ গুলোর মাঝে সাহায্য নিয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয় ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’। শুক্রবার এই বেদে পল্লির ৩২ টি পরিবারের প্রায় ২ শতাধিক মানুষের জন্য আনুমানিক ১০ দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে সক্ষম হয় তারা।

‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহতাসিম আবশাদ জিসান বলেন, আমরা ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে আজ পর্যন্ত যত কাজ করেছি, তার একটাই লক্ষ্য ছিলো তা হলো অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাই এই অসহায় বেদে সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা সকলে শিক্ষার্থী। তাই সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন, সেই সাথে দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে এই কাজগুলো করতে পারি।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বেদে সম্প্রদায়,ত্রাণ বিতরণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close