reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ আগস্ট, ২০২০

চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে সতর্কতা

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত পথে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে। ঈদের পরের দিন বেনাপোল সীমান্তের কয়েকটি এলাকা ঘুরে বিজিবি ও পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ে।

রোববার বিকালে সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুর- ই এলাহী ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।

জানা যায়, করোনার কারণে দেশে এবার চামড়ার বাজার মূল্য খুবই নাজুক। কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। সরকারি দামে কেনা-বেচায় সাড়া নেই কারো। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন ভারতে বেশি দাম থাকায় অবিক্রিত চামড়া পাচার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

চামড়ার বাজার ঘুরে দেখা যায়, যশোরের বেনাপোল এলাকায় ৫ মণ ওজনের গরুর চামড়া সাড়ে ৩ শ থেকে ৪ শ টাকা এবং ১০ মণ গরুর চামড়া ৬ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । অপর দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া ৪ শ থেকে ৬ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ৮ শ থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বেনাপোল বাগে জান্নাত কওমি মসজিদের মুয়াজ্জিন রেজাউল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম। গরুর চামড়া ছোট-বড় গড়ে সাড়ে ৪০০ টাকা দাম পেয়েছি। গত বছর এ চামড়ার দাম ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি পিস ২০ টাকা।

২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুর- ই এলাহী জানান, সীমান্ত পথে যাতে কোনোভাবে চামড়া পাচার না হয় তার জন্য বিজিবি সতর্ক অবস্থানে আছে। এছাড়া সব ধরনের চোরাচালান ও পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে বিজিবি।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, চামড়ার পাচার রোধে বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পুলিশের স্পেশাল একটি টিম ইতিমধ্যে জোরদার টহল অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুরবানীর পশুর চামড়া,সীমান্ত নিরাপত্তা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close