মেহেদি জামান লিজন, ত্রিশাল

  ০৬ জুলাই, ২০২০

ত্রিশালে তালশাঁসের জমজমাট ব্যবসা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় ঠিক এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে অনেক তাল গাছ। সেগুলোতে ঝুলছে কচি তাল। এ ফলকে অনেকেই বলেন তালের শাঁস, আবার কেউ বলেন তালের আঁটি।

বৈশ্বিক করোনা প্রার্দুভাব থামিয়ে রাখতে পারেনি মৌসুমী ফলের বাজার। ত্রিশাল উপজেলার হাট-বাজারে উঠেছে কচি তাল। তালের ব্যবসা এখন জমজমাট। দোকানিরা তাল বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ তালের শাঁস।

ত্রিশাল পৌরবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কচি কচি তাল সংগ্রহ করে দোকান সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। তালশাঁসের বেশ চাহিদা থাকায় সিরিয়াল ধরছেন ক্রেতারা। চাহিদা মাফিক সময়মতো শাঁস কেটে সারতে পারছেন না বিক্রেতারা। প্রতি পিস তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়। সে হিসেবে একটি আস্ত কচি তাল ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, আমি বেকার ছিলাম, করোনাকালে পরিবারের আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ায় তালের শাঁস বিক্রি করছি। চাহিদা থাকায় এতে বেশ লাভবান হচ্ছি। সংসার ভালভাবেই চলে যাচ্ছে।

বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিগলিতে তালশাঁস বিক্রির ধুম লেগেছে। গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাঁস অনেক উপকারী।

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, তালের শাঁস বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। করোনাকালীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মৌসুমী ও সাইট্রাস জাতীয় ফল বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তালশাঁস,ত্রিশাল,তালের শাঁস
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close