অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

  ২২ মার্চ, ২০২৩

বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট

যোগাযোগ বৃদ্ধি দুই দেশের বাণিজ্য প্রসারে সহযোগিতা করবে

বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে দুই দেশেরই ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সহযোগিতা করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশস্থ উজবেকিস্তানের কনস্যুলার ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমনটা জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টারের (বিটিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবদিন ও তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম।

মো. তাহের শাহ বলেন, উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কেনেন তখন তারা দেখেন ট্যাগ লাগানো থাকে মেইড ইন বাংলাদেশ। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি ওই দেশের সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। মাত্র ২ টাকা ইউনিটে বিদ্যুৎ, গ্যাস প্রায় ফ্রি, এছাড়া জায়গাও দিচ্ছে। এসব সুবিধা নিচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এর সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। এই সময়ে এ ধরণের সামিট ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিসির সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা সাত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা এই সামিটের আয়োজন করেছে। তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে আগামী ২৬ ও ২৭ মে এটি হবে।

বিটিসির প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে করে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। এ খরচ কমাতে এখন দিল্লি হয়ে যেতে হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোষাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা, মানব সম্পদ ইত্যাদি পণ্য ও সেবার ভাল বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। এছাড়া মধ্য এশিয়ার দেশটি থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও সে দেশে বিনিয়োগের জন্য আদর্শ গন্তব্য হতে পারে। এর মাধ্যমে মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হবে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য।

আয়োজকরা জানান, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জনশক্তি রপ্তানিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে। এই সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য অন্যদিকে উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, পোশাক ও বস্ত্র খাতের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আর দেশটি থেকে মূলত সুতা ও বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হয়ে থাকে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান,বিজনেস সামিট,বাণিজ্য
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close