পেঁয়াজে স্বস্তি, বেড়েছে সবজির দাম
সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও বাড়ছে সবজির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, রাজধানীতে বেশিরভাগ সবজি আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। কিন্তু কুয়াশার কারণে টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুতে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে থাকে। ফলে তারা সময়মতো পাইকারি বাজারগুলোতে আসতে পারে না। তাই পাইকাররা বেশি দামে পণ্য কিনে থাকে। আর তাই বাড়ছে কাঁচাবাজারের দাম।
এদিকে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্ষুব্ধ নগরবাসীর। ক্রেতারা বলছেন, এই শীত মৌসুমজুড়ে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি। এখন শীতের সবজির ভরা মৌসুম। এখন কেন দাম বাড়বে। এটা কিছুতেই মানা যায় না। কুয়াশার অজুহাত দেখিয়ে সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়- টমেটো ৪০, শিম ৪০, বেগুন ৪০, শসা ৩০, করলা ৫০, আলু মানভেদে ২০-২৫ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ এবং পেঁয়াজের ফুল এক আটি ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মটরশুঁটি ১০০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ৩০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা করে। নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে লাল শাক ও পালন শাক। গত সপ্তাহে ৫ টাকা আঁটি বিক্রি হওয়া লাল ও পালন শাকের দাম বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। এদিকে চালের দামে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যায়নি।
বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি পিস ৩০০-৪০০ টাকা, পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসের দাম আগে থেকেই চড়া। বর্তমানে খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। মাছের দামও বাড়তি। কেজি প্রতি সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, আকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পিডিএসও/রিহাব