নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স

দেশের ব্যবসা পরিবেশে উন্নতি

বিদায়ি বছর দেশের ব্যবসা পরিবেশ সূচকে উন্নতি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। ভূমির প্রাপ্যতা, কর পরিশোধ ও মূলধন প্রাপ্যতার অবনতি ঘটায় সূচকে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স (বিবিএক্স) ২০২২-২৩ শীর্ষক এ সূচকের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এটি তৈরি করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি)। এতে বলা হয়, গত বছর ব্যবসা পরিবেশ সূচক দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, যা ২০২১ সালে ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সূচকের ১০টি ভিন্ন দিক বিবেচনায় এ সূচক তৈরি করা হয়েছে।

সূচকে দেখা গেছে, নীতিগত তথ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে ব্যবসায় অর্থায়ন পাওয়ার ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। ২০২১ সালে এটির স্কোর ছিল ৫০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট। তবে চলতি বছর তা কমে ৩৫ দশমিক ২২ পয়েন্টে নেমেছে। জমির প্রাপ্যতা কমেছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং কর প্রদানের হার কমেছে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (পিইবি) চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (জ্যেষ্ঠ সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া।

ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই একটি উল্লেখযোগ্য খাত। এ খাতের উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই নারী। তাদের নিজের নামে উল্লেখ করার মতো সম্পদ থাকে না। যা থাকে, হয়তো স্বামীর নামে নয়তো বাবার নামে। ফলে তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত দিতে পারেন না। তাই অর্থায়নের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরের এলাকাগুলোয় করদাতার সংখ্যা নামমাত্র। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো জটিলতা দেখা যায়। পদ্ধতিগত ও নীতিগত জটিলতাও রয়েছে। ফলে অনেকেই ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ পান না। এখানে অনেক বেশি কাজ করা দরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close