বাসস

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মেহেরপুরে তিল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

ভোজ্য তেল হিসেবে চাহিদা বাড়ার কারণে অল্প শ্রমে এবং কম খরচে সব ধরনের মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে জেলার কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে যাবে তিল চাষিদের ভাগ্য। জেলার তিল চাষিরা তিলচাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

মেহেরপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা ও তিল চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন আবাদের পর খেত যখন খালি থাকে তখন তিল চাষ করা যায়। এতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু ছাগলে তিল খায় না তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোনো খরচ হয় না।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা জানান, কম খরচে উৎপাদন করে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। তাছাড়া ভোজ্য তেল হিসেবেও তিলের তেলের চাহিদা বেড়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। চলিত মৌসুমে বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকদের মাঝে তিলের বীজ প্রদান করা হয়। তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য তিলের ব্যবহার এবং তিল থেকে উৎপাদিত তেল আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত। এ বিষয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। খরচ কম আর আর্থিকভাবে লাভবান হতে মেহেরপুরে তিল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটির জৈব ঘাটতি পূরণেও লাভজনক হওয়ায় তিল চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সুবিধা পেলে এ জেলার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা হতে পারে তিল। মাঝে তিল চাষ অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে ফের তিল চাষ বাড়ছে। গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের তিল চাষি জাহিদুল হাসান বলেন, তিনি তিন বছর ধরে তিল চাষ করছেন। এবার করেছেন দুই বিঘা জমিতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close