নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ জুন, ২০২২

পোশাকশিল্প কারখানায় আগুন

নিরাপত্তায় ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ

বিভিন্ন পোশাকশিল্প কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনার কারণে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন ও প্রয়োজনে গোপন ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সম্প্রতি বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংগঠনের সদস্যদের অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনা এবং কেমিক্যাল বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ বিভিন্ন মানুষের হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা অন্য কোনো বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অগ্নিদুর্ঘটনার বিষয়ে সচেতনতা ও কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। কারখানার বয়লার, জেনারেটর, বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বোর্ড ও প্যানেল বোর্ড, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড এবং বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে বিদ্যুতের তারের সংযোগস্থল লুজ হলে সেখানে পানি লেগে স্পার্ক করে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারখানায় পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে অগ্নিদুর্ঘটনাসহ সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে এবং শ্রমিক অথবা কর্মচারী হতাহতের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে।

চিঠিতে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরামর্শগুলো হলো- রাতে কারখানা বন্ধ করার আগে সব মেশিনারি বন্ধ করার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ, কারখানায় ব্যবহৃত সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ একজন প্রকৌশলী দ্বারা নিয়মিত পরীক্ষা করানো, বৈদ্যুতিক মেইন সুইচের ৩ ফুটের মধ্যে কোনো মালামাল বা দাহ্য বস্তু না রাখা, কারখানার সিঁড়ি ও চলাচলের পথ সবসময় বাধামুক্ত রাখা ও সব সিঁড়ির গেট খোলা রাখা, কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ে প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা ও সিকিউরিটি গার্ড নিযুক্ত রাখা, তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপণে কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, পানিভর্তি ড্রাম ও বালতি, দুর্ঘটনায় পদদলিত হয়ে কোনো শ্রমিক-কর্মচারী যেন হতাহত না হন; সেজন্য কারখানায় নিয়মিত বহির্গমন মহড়া পরিচালনাপূর্বক রেকর্ড সংরক্ষণ এবং ফ্লোরে ও সিঁড়িতে বিকল্প জরুরি বাতি এবং ফায়ার অ্যালার্মের ব্যবস্থা রাখা। এ ছাড়া চিঠিতে কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনা হলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ০২-২২৩৩৫৫৫৫৫ নম্বরে এবং বিজিএমইএর ‘ফায়ার ইমার্জেন্সি পুলের জরুরি নম্বর ০১৯১৩-৫২৯৮৬৭-এ ফোন করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close