নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ এপ্রিল, ২০২১

প্রথম ঢেউয়ে ক্ষতি ৮৫,০০০ কোটি টাকা

মহামারি কোভিড-১৯-এর প্রথম ওয়েভে দেশের অর্থনৈতিক খাতে ক্ষতি হয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। তখন অর্থনীতির ক্ষতি পোষাতে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যয় করতে হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা। কোভিডের প্রভাব মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু কোভিডের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাক্কা! তবে দ্বিতীয় ওয়েভে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায়ও প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত সোমবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে করোনায় অর্থনীতিতে মোট কত ক্ষতি হয়েছে তা বের করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ‘সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার। এতে বলা হয়েছে, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রাণহানিসহ ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। তবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত ১২ বছর দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকায় এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের কারণে অর্থনীতি স্বল্প সময়ে কোভিডপূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী চারটি নীতি কৌশল এবং পর্যায়ক্রমে ২৩টি অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা। এটি ১৪.৬ বিলিয়ন ডলারের সমান এবং জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রীর ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে ৯টি প্যাকেজ সামাজিক সুরক্ষা-সংক্রান্ত। এর মধ্যে গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ অন্যতম একটি কর্মসূচি। এটি সামাজিক সুরক্ষা ও দারিদ্র্যবিমোচনে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। এই একটি কার্যক্রম গৃহহীন ও ভূমিহীন অতিদরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে তুলে আনবে। অবহেলিত বিশেষ করে নারীদের সামাজিক ক্ষমতায়ন করবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি করোনাপূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। কোভিড মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত কী করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯-জনিত অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ৪টি নীতি কৌশল অবলম্বন করেন। পরে এরই আলোকে পর্যায়ক্রমে ২৩টি অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘বিগত ১২ বছর দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকায়, প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতি স্বল্প সময়ে কোভিড-পূর্বাবস্থায় ফিরে এসেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close