নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ মে, ২০১৮

পোশাক কারখানার সংস্কার কার্যক্রম

জুলাই থেকে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু

* ইউরোপিয়ান ক্রেতা জোট একর্ড ১ হাজার ৫০৫টি * উত্তর আমেরিকান ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স ৮৯০টি * বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করে

দেশের ১ হাজার ৫৪৯টি তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় দেশের ৩ হাজার ৭৮০টি তৈরি পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ক্রেতা জোট একর্ড ১ হাজার ৫০৫টি, উত্তর আমেরিকান ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স ৮৯০টি এবং বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা সংস্কার করার কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি তৈরি পোশাক কারখানার নিশ্চিত করতে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) গঠন করা হয়। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ সরকারের অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ৬টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই সেল গঠন করার পর এ পর্যন্ত অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৫০টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানার মধ্যে ৮০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা সংস্কারের জন্য মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী এই কার্যক্রমের ২৭ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এই কার্যক্রমকে ফলোআপ করার জন্য আরসিসি কমিটির উদ্যোগে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার অধীনে ৬০ জন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যাতে আগামী ১ জুলাই এই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী যেসব মালিক কর্তৃপক্ষ এই সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করবে না তাদের কারখানা বন্ধ করাসহ লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। সংস্কারের আওতাধীনে ৮০৯টি কারখানার মধ্যে ঢাকায় ২৯৬টি, নারায়ণগঞ্জে ১৭২টি, গাজীপুরে ১৯০টি, চট্টগ্রামে ১২৬টি এবং অন্যান্য জেলায় ২৫টি কারখানা ফলোআপ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এই সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। গত ৫ বছরে অ্যালায়েন্সের শর্ত পূরণ না করতে পারায় ১৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। আর ৬৬৬টি কারখানার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৩২২টি কারখানা শতভাগ সংশোধন করা হয়েছে ।

তিনি বলেন, জাতীয় উদ্যোগের আওতাধীন ৫৩১টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ৬৮টি কারখানা অন্যত্র স্থানান্তর হয়েছে। ১২টি ইপিজেডের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ১২৯টি একর্ড ও অ্যালায়েন্স যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেইফটি ইউনিট গঠন করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist