মো. মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর)

  ০৮ আগস্ট, ২০২২

বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও ওষুধ আটক

বেনাপোলে বন্দরে আবারও আমদানিকৃত পণ্যে মিলল নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট লাইফ ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ আগস্ট ৮৪০ ব্যাগ মাইক্রোসেল পিটি নামে একটি পণ্য আমদানি করে। যার আমদানি মূল্য ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা)।

পণ্য চালানটির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের রাজস্থানের এসএস ব্লুকেম ইন্ডাস্ট্রি। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় একটি ট্রাক (নম্বর-নং ডব্লিউ-বি ৪১-ই-০৯১৮) রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যবোঝাই ট্রাকটি বন্দর থেকে কাস্টম হাউসে নিয়ে আসে। বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের সামনে ট্রাকের ত্রিপল খুলে আমদানি পণ্যের সঙ্গে ৬০০ বোতল ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন ধরনের ২২ হাজার ৫১৮ পিস নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া পায়। সুজুতি এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চালানটি খালাসের আগেই কাস্টমের জালে ধরা পড়ে গেল চোরাই পণ্য ভর্তি ট্রাকটি।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার আবদুল রশীদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে চোরাচালানের মালামাল পাচার করছে। গত ৩ মাসে এ ধরনের অনেক চালান আটক করা হয়েছে। ভারতীয় ট্রাকের চালক, আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় ফৌজদারি মামলা রুজু করা হবে।

এর আগে গত ১৫ জুন রাতে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বাজি, ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

এ দিকে স্থানীয়রা জানান, বন্দরে সিসি ক্যামেরা আর বিভিন্ন সংস্থার নজরদারি এড়িয়ে বৈধ পথে বৈধ পণ্যের সঙ্গে ভারতীয় ট্রাকযোগে প্রায়ই ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। এসব পণ্যের সঙ্গে সরাসরি ভারতীয় ট্রাকচালকরা জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ অর্থের লোভে। আর ঘটনার সঙ্গে এপার-ওপারের রাঘববোয়ালরা বরাবর থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ কারণে কোনোভাবে মাদক প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close