নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ মে, ২০২২

কর্মচাঞ্চল্যে বেড়েছে যানজট, ভোগান্তি

ঈদ ও ঈদের রেশ দুটোই কেটে গেছে আগেই; মাঝখানে ছিল তিন দিনের সরকারি ছুটি তাও আয়েশেই কাটিয়ে রাজধানীজুড়ে ব্যস্ত ছোটাছুটি বেড়েছে মানুষের। শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। এতে চেনা চেহারায় ফিরে বেড়েছে যানজটও। গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিজয় সরণি, রামপুরা, বাড্ডা, কাকরাইল, শান্তিনগর, গুলিস্তান, পল্টন, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল শত শত গাড়ি। গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ। অপেক্ষার পালা যেন শেষই হচ্ছিলই না। কোথাও কোথাও টানা ৪০ মিনিট সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

সাবিনা ইয়াসমিন থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের আদাবরে। তার দুই মেয়ে পড়ে ধানমন্ডির একটি স্কুলে। তিনি বলেন, সকাল ৭টায় ছোট মেয়েকে গাড়িতে করে স্কুলে পৌঁছে দিতে লেগেছিল ২০ মিনিট। আর বেলা পৌনে ১১টায় বড় মেয়েকে ১ ঘণ্টায়ও স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেননি। কী হয়েছে, কে জানে!

তুহিন তৈহিদ কলাবাগান থেকে বাসে মহাখালীর অফিসে গেছেন দেড় ঘণ্টায়। মহাখালী যেতে প্রথমে বড় যানজটে পড়েন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত তীব্র জট। সেখান থেকে বের হয়ে আসার পর আবার মহাখালীতে এসে যানজটের মধ্যে পড়েন।

পল্টন মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ অটোরিকশার চালক মিনহাজ মিয়া বলেন, ঈদের ছুটিতে যে রাস্তায় ২০ মিনিটে যাওয়া যেত, এখন সেখানে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। এদিকে যানজট কমাতে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। মহাখালী ট্রাফিক অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আশফাক উদ্দিন বলেন, গত শুক্র ও শনিবার ছিল সরকারি ছুটি। এরপর রবিবার ছিল বুদ্ধপূর্ণিমা। সব মিলিয়ে তিন দিনের ছুটির পর অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ খুলেছে। গাড়ির চাপ বেশি থাকায় রাজধানীর কিছু এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। এছাড়া ঢাকার রাস্তায় গাড়ি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আইন ভাঙার প্রবণতাও বাড়ছে। যার ফলে যানজট বাড়ছে। রাস্তায় যারা ট্রাফিক আইন ভাঙছেন তাদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close