কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ভাঙল সাধুর হাট
বাউলপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কুষ্টিয়ার কালীগঙ্গা নদী পাড়ের ছোট ছেউড়িয়া গ্রাম, জমজমাট লালনের বারামখানা। ভবের হাটে আধ্যাত্মিক গান আর ঢোল-বাঁশির সুরে জমজমাট হয়ে উঠেছিল লালন সাঁইজির ধাম। লালন তিরোধান ও সাধুসঙ্গ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় সাঁইজির ধামে চলা তিন দিনব্যাপী উৎসব গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে। প্রথাগত নিয়ম অনুসারে দিনের শুরুতেই সাধুরা সূর্যোদয়ের আগে চাল পানি, সূর্যাস্তের পর বাল্যসেবা হিসেবে পায়েস মুড়ি ও দুপুরে পুর্নসেবার পর চোখের জ্বলে গুরুর আস্তানা ছেড়েছেন সাধু-ভক্তরা। ফিরেছেন যে যার ঘরে। তবে গ্রামীণ মেলা চলবে আজ শনিবার পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উন্মুক্ত মঞ্চে শেষ দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মৃনাল কান্তি দে, জেলা জাসদের সভাপতি আলহাজ গোলাম মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন প্রমুখ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। রাতে আলোচনা আর লালন গানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় জেলা প্রশাসনের কর্মযজ্ঞ।
"