খুলনা প্রতিনিধি
জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধার্থে মোংলা বন্দরে নির্মাণ হবে আটটি জেটি
দুর্ঘটনা এড়াতে, জাহাজজট নিরসন এবং মালামাল দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আটটি জেটি নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে। এছাড়া জাহাজ চলাচলের সুবিধার্থে নাব্যতার জন্য পশুর নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজও শুরু হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেল টাইগার গার্ডেনে ‘এলডিসিভুক্ত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ : মোংলা বন্দরের অর্জিত সাফল্য, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজক।
প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তালুকদার আবদুল খালেক এমপি। সভাপতিত্ব করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান। আলোচনায় অংশ নেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখ, কুয়েটের প্রফেসর ড. মো. হারুনুর রশীদ, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হা. ও মে.), খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, জুট মিল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, বন্দর ব্যবহারকারী হেমায়েত উদ্দিন ও এইচ এম দুলাল।
সেমিনারে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের উৎপাদিত পাটজাত দ্রব্যের মধ্যে ৮৭ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে রফতানি হচ্ছে। ৬২৩টি বৈদেশিক জাহাজ ৭৫ লাখ মেট্রিক টন পণ্য খালাস করে। বছরে ২২৬ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব অর্জিত হয়। মোংলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে নতুন নতুন পণ্য আমদানির দ্বারউন্মোচিত হবে। এছাড়া ভারত-নেপাল-ভুটানের ট্রানজিট সুবিধা চালু হলে বন্দর ব্যবহার আরো বৃদ্ধি পাবে।
"