ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারিতায় এসএসসি বঞ্চিত ছয় পরীক্ষার্থী
ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অনিয়মেয় ভরপুর থাকলেও তাদের স্বেচ্ছাচারিতার খেসারত দিতে হচ্ছে ৬ এসএসসি পরিক্ষার্থীকে। এমন কি শিক্ষাবোর্ড প্রবর্তিত নিয়ম মানেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ এসএসসি শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেন।
শিক্ষাবোর্ড নিয়ম অনুযায়ি কোন শিক্ষার্থী ৪ বিষয়ে ফলাফল খারাপ করলে তাকে বোর্ড পরীক্ষায় নেয়া যাবে না; তবে পুনরায় তাদের মডেল টেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু এ নিয়ম মানেনি হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আল মামুন, রাকিব ইসলাম, রনি ইসলাম, মোছা. কেয়া আক্তার, মোছা. ইরিন আক্তার, মেহেদি ইসলাম। শিক্ষার্থীরা ৩ থেকে ৫ বিষয়ে ফলাফল খারাপ করেছে। তাদের দাবি, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা না হলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে রয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১১-২৩ নভেম্বর হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত পরীক্ষার ফলাফলে ওই ৬ শিক্ষার্থীর ফলাফল খারাপ দেখা যায়। ফলে তাদের বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দিচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দুই বছর কোনো ম্যানেজিং কমিটি ছিল না। এসব নিয়ে নানা সময় হট্টগোল হত বিদ্যালয়ে। এসব কারণে বিদ্যালয়ে নতুন কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। ঠিকমত ক্লাস হয় না। এমনকি স্কুল ছুটির আগেই বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হত। এতে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা অত্যান্ত নাজুক হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে। কেয়া আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মডেল টেস্ট পরীক্ষার সময় আমি অসুস্থ্য ছিলাম। এ কারণে ঐ পরীক্ষায় আমার ৪ বিষয়ে ফলাফল খারা হয়। আমার অভিভাবক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন অপর ৫ শিক্ষার্থী।
প্রধান শিক্ষক মো. মিনহাজুল ইসলাম অভিভাকব সম্মেলনের দোহাই দিয়ে বলেন, ৬ জন শিক্ষার্থী মডেল টেস্ট পরীক্ষা ফলাফল খারাপ করেছে তাই তাদের বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেয়া হবে না। আপনাদের যদি নিউজ করার ইচ্ছে হয় করেন। তারপরও আমি তাদের সুযোগ দিব না।’ এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আক্তার শিক্ষার্থীদের পুনরায় মডেল টেস্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে এটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কি কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটি করলেন না আমরা জানা নেই।’ তিনি বিষটির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
"