ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
স্ত্রীর নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হচ্ছে না এএসআই
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় যৌতুকের জন্য মারপিটের ঘটনায় এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতে মামলা করেছে তার স্ত্রী। মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলেও রহস্যজনক কারণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না পার্বতীপুর থানার পুলিশ।
জানা যায়, অভিযুক্ত এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান (২৭) জেলার পার্বতীপুর উপজেলার উত্তর মরনাই গ্রামের মোঃ মোকছেদ আলীর ছেলে। বাদী মোছাঃ নাজমুন নাহার (২২) ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপি’র পশ্চিম সমশেরনগর গ্রামের মোঃ নূর ইসলামের মেয়ে। ২০১২ সালে ২১ আগস্ট পারিবারিক ভাবে বিয়ের পর যৌতুকের জন্য মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এএসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। এনিয়ে ওই বছরের ২ নভেম্বর মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠিত গ্রাম্য বৈঠকেও ৩ লাখ টাকা ও মোটর সাইকেল যৌতুক দাবি করেন, অন্যথায় তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে অন্যত্র বিবাহ করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে মোছাঃ নাজমুন নাহার দিনাজপুর প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালত-৫-এ স্বামীসহ ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘর সংসার করবেন মর্মে আপোষ নামা দাখিল করে জামিন লাভ করেন। গতবছরের ১৮ মার্চ একই ভঅবে স্ত্রীকে বেধম মারপিট বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার প্রেক্ষিত নির্যাতনের শিকার নাজমুন নাহার মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলা গ্রহন না করায় গতবছরের ৫ মে দিনাজপুরের জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।
পার্বতীপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপির তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে গত ২৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানকে দোষী বলে সাব্যস্ত করেন আদালত। কিন্তু তবুও পার্বতীপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
মোছাঃ নাজমুন নাহার জানান, বর্তমানে পুলিশের এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় বিবাহ করে ঢাকায় কর্মরত আছেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঘরসংসার করছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হন্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ মোবাইল ফোনে জানান, বাদীনী এসেছিল, কিন্তু আসামি এখানে নেই। জানা গেছে, ঢাকা হেট কোয়ার্টারে চাকুরী করছে। সেখানে সমন পাঠাতে হবে।
"