রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারী

বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে যান ও ফেরি চলাচল বন্ধ

এলজিইডি সেতু নির্মাণ না করা পর্যন্ত ফেরি চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে না বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা

কুড়িগ্রামের রৌমারী-ফেরীঘাটে যাওয়ার একমাত্র বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গেছে। এতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ভাগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রৌমারী-চিলমারীঘাটে পানিতে ফেরী চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিনে রৌমারী থেকে ফলুয়ারচর ফেরীঘাটে যাওয়ার চরবন্দবেড় এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের উপর নির্মিত একটি বেইলি সেতুর পাটাতনটি গত ১০ জানুয়ারি ধসে গেছে। জানা গেছে, ২০০২ সালে কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও সংস্থা সেতুটি নির্মাণ করে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সেতুটির উপর নানা যানবাহন চলাচল করে আসছিল। ২০২৩ এর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রৌমারী-চিলমারী নদী বন্দর থেকে ফেরিতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নানা পন্য বোঝাই ট্রাক, বাস, রৌমারী ফেরী ঘাট থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় এ সেতু দিয়ে যাওয়া আসা করছে। পাশাপাশি নদী এবং আবাদী জমির বালু ও মাটি কেটে শতশত অবৈধ ছয় চাকার ট্রাক্টর নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতি নিয়ে বেপরোয়া চলাচল করছে। এতে সেতুটির স্লাব ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

্অপরদিকে বিআইডাব্লিউটিসির রৌমারী-চিলমারী ফেরী সাভির্সের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, চরবন্দবেড় নামক একটি স্থানে নির্মিত একটি সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে ১৭ দিন ধরে রৌমারী-চিলমারীঘাটে পানিতে ফেরী চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এলজিইড়ি সেতু নিমার্ণ না করা র্পযন্ত ফেরী চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে না।

চর বন্দবেড় গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ ছয় চাকার ট্রাক্টর গাড়ি দিয়ে আমাগরে জমি নষ্ট করে, এদের কারণে জমি ভাঙ্গে, সড়ক নষ্ট করে, এরা সেতু ভাঙ্গে এ গাড়ি দিয়ে এরা মানুষও মারে। এদের কে কেউ কিছুই কয়না। আমরা এদের বিচার চাই।’

রৌমারী উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন সেতু নির্মাণে প্রাক্কলন করা হবে। আপাতত যানবাহন চলাচল এবং সাধারণ মানুষ চলতে পারে, সে বিষয়ে শিগ্রই কাজ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close