মিলন রায়হান, জয়পুরহাট

  ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

জয়পুরহাট

৫ উপজেলার জমির মাটি বিক্রি ফসল ও সড়কের ক্ষতি

জয়পুরহাটে তিন ফসলি জমি, নদী ও বাঁধের পাশ থেকে মাটি খনন করে বিক্রির মহোৎসব চলছে। জেলায় শতাধিক জমিতে এসকেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্রি করা মাটি ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি পরিবহনের সময় ট্রাক্টরের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কের পিচ। মাটি সড়কে পড়ে বিটুমিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা যায়, পুকুর খনন করা মাটি দূরত্ব ভেদে ট্রাক্টর প্রতি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এটি খনন করার জন্য সরকারি কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি। জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলার ফসলি জমির মাটি কেটে দেদারছে চালছে ব্যবসা। ভেকু মেশিন দিয়ে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটছেন তারা। এভাবে মাটিকাটার ফলে উর্বরতা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পাশের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী। ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের কৃষক শিমুল ও সোলার পাড়া গ্রামের মজনু মিয়া জানান, উৎপাদিত সব ফসলে লোকসান হওয়ায় তারা ঋণের বোঝা লাঘবের জন্য ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন।

ক্ষেতলাল উপজেলার মাটি ব্যবসায়ী আসলাম ও মিজান জানান, জমির বিক্রিত মাটির দূরত্বের ওপর নির্ভর করে কমবেশি দাম নির্ধারণ করা হয়।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফতাবুজ্জামান আল ইমরান প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী, কোনো ফসলি জমির মাটি ড্রেজার বা মেশিন দিয়ে কাটা নিষিদ্ধ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জয়পুরহাটের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জমির উপরিভাগের পুষ্টিযুক্ত মাটিগুলো কাটা হচ্ছে।

এখনই তা বন্ধ না করলে খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close