যশোর প্রতিনিধি

  ০৪ আগস্ট, ২০২২

ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত বীর মুক্তিযোদ্ধা

আমি একজন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা। শুরুতে ভাতা পেতাম ৩০০ টাকা। আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজার টাকা পাচ্ছি। এাছাড়াও ঈদসহ বিশেষ বিশেষ দিনে বোনাসেরও ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু জীবনে কল্পনাও করতে পারিনি আমি ও আমার পরিবার পাকা ঘরে বসবাস করবো। এখন সেই কল্পনা বাস্তবায়নের শেষ মুহূর্তে। দুদিন পরেই পাকা ঘরে উঠবো। কথাগুলো বলছিলেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রন্তশাহাপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নফর আলী।

সরকারের বরাদ্দকৃত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ঘর পেয়েছেন নফর আলী। ১ আগস্ট তাঁর ঘরের ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়। সরকারের দেওয়া ঘর পেয়ে তিনি আনন্দে আত্মহারা। এ জন্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নফর আলী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন স্যালুট ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

বীরমুক্তিযোদ্ধা নফর আলী বলেন, বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপ আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। একই এলাকায় রতনদিয়া গ্রামের ঘরপ্রাপ্ত অপর বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবার রহমান বলেন, আমার নিজস্ব পাকা বাড়িঘর ছিল না। আজ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিজের তার ব্যবস্থা হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাই শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম।

১৯৭১ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এ দেশের দামাল ছেলেরা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ছিনিয়ে আনেন তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা। সেই রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে কোনো বীরমুক্তিযোদ্ধাই যেন অসচ্ছল ভাবে জীবনযাপন না করেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই সব বীরমুক্তিযোদ্ধার ভাতাও বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় গ্রামগঞ্জে পাড়া-মহল্লায় বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোট ৪৪টি গৃহায়নের কাজ চলমান রয়েছে বলে উপজেলা বীর প্রবাসন প্রকল্প কর্মকর্তা শিমুল হোসেন জানান। তিনি বলেন, প্রতি ঘরের জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

মণিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বায়েজিদ হোসেন বলেন, সরকারি ঘর নির্মাণ কাজ সিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ এখনও আমরা পায়নি। নিয়মিত নির্মাণকাজ পরিদর্শন করছি।

ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। দীর্ঘ দিন পরে হলেও বীরমুক্তিযোদ্ধারা বসবাস করবেন এই বীর নিবাসে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close