রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

রৌমারীতে নেই সেতু

দুর্ভোগে ২৫ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে ৮ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। কয়েক বছর আগে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সবুজপাড়া গ্রামের পূর্বপাশে আলমের বাড়িসংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙে যায়। পরে আলম নামের এক ব্যক্তি তার নিজস্ব তহবিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর দাবি জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৪০০ ফুট রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার খাঁটিয়ামারী, রতনপুর, চরবামনেরচর, মোল্লারচর, বেহুলারচর, সুতিরপাড়, বোল্লাপাড়া, মাঝিপাড়া গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় ওই রাস্তা দিয়ে। ফলে বাঁশের সাঁকো পারাপারে ৮ গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে বাজারে আনা-নেওয়ার সমস্যা পড়তে হয়। এছাড়া স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। এর আগে ওই ভাঙন স্থানে সড়ক, কালভার্ট, স্লুইচগেট ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কোনোটিই স্থায়িত্ব হয়নি।

২০০৫ সালে সড়কের মাঝিপাড়া গ্রামের পূর্বপাশে আলমের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর এলজিইডির অর্থায়নে একটি স্লুইসগেট ও খালের বাকি অংশ মাটি ভরাট করে সড়ক মেরামত করা হয়। পরের বছরই বন্যায় স্লুইসগেটটি অক্ষত থাকলেও সড়কের মাটি ভরাট অংশটুকু ভেঙে যায়। এর কয়েক বছর পর ওই জায়গায় দুবার মাটি ভরাট করে পুনরায় মেরামত করা হলেও ২০১৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের ওই অংশটুকু আবারও ভেঙে যায়।

গত রবিবার সকাল ১০টায় একটি ব্রিজের দাবিতে উপজেলা শাপলা মোড়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এ সময় বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হারুনর রশিদ হারুন, অ্যাডভোকেট মাসুম ইকবাল, ফয়জার রহমান, আবদুর রাজ্জাক, আসাদুজ্জামান আসাদ ও এস এম এ মোমেন প্রমুখ। পরে ইউএনও বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী জোবায়ের আহমেদ বলেন, ভাঙা স্থানে স্লুুইসগেটের জন্য প্লানিং এস্টিমেট করে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউএনও আল ইমরান জানান, বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোর স্থানে বড় স্লুইসগেট দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close