কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ২২ জুলাই, ২০১৯

কুড়িগ্রামে বন্যার্ত এলাকায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৮৯৪টি গ্রামের অনেক বাড়িতেই এখন হাহাকার। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যাভাবের সাথে চিকিৎসা ও চিকিৎসক সংকটেও ভুগছেন তারা। বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় বাজার-সওদা করা কিংবা ওষুধ কিনতে যেতেও পারছেন না তারা। যদিও কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলামের দাবি, জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

নামারচরের মুন্নি আক্তারের মতো একই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের শাহিদা বেগম, কাজলী ও নেজাম উদ্দিনসহ কয়েকজন। নেজাম উদ্দিন জানান, তার দেড় বছরের নাতি শামীম চার দিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছে। তিনি পার্শ¦বর্তী একটি দোকান থেকে খাওয়ার স্যালাইন কিনে এনে খাওয়াচ্ছেন। এছাড়া অন্য কোনও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। শামীমের বাবা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করায় নাতিকে নিয়ে বড় দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন নেজাম উদ্দিন। একই চিত্র দেখা গেছে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চর ও বালার চর এবং বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে। সেখানে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়া ও সর্দি জ্বরসহ পানিবাহিত রোগে।

তবে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোস্তারি বেগম বলেন,‘ সর্দি, কাশি ও হাতপায়ে চুলকানি নিয়ে রোগীরা আসছেন, তবে এটা এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। পানি নেমে গেলে এর প্রকোপ আরও বাড়বে।’ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছেন কি না, জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন,‘ ফুড পয়জনিং ও নোংরা পানির কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে।’

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিবার বন্যার ন্যায় এবারও জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম হলেও এসব টিমে এমবিবিএস ডাক্তার রয়েছেন মাত্র ৩৫ জন।

জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন,‘ চিকিৎসক সংকট থাকায় একজন এমবিবিএস ডাক্তারের অধীন একাধিক মেডিকেল টিম দেওয়া হয়েছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close