শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ১৭ মে, ২০১৯

জমি-সড়ক বাঁচাতে রাস্তায় খুঁটি পুঁতে দিলেন গ্রামবাসী

অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন প্রতিরোধে গ্রামের চার স্থানে বাঁশ-খুঁটি পুঁতে দিয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ পূর্বপাড়াবাসী। কৃষিজমি ও সড়ক রক্ষায় বালি-মাটি বহনকারী ট্রাক যাতাযাত রোধে গত তিনদিনে এই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন বলে জানান গ্রামবাসী। অভিযোগ আছে, উপজেলা প্রশাসনকে অনেকবার এ বিষয়ে অবহিত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয় নি।

সরেজমিনে সুজাবাদ এলাকায় দেখা গেছে, ওই গ্রামের কৃষিজমিতে একাধিক মাটি-বালুর পয়েন্ট করা হয়েছে। অনেক স্থানে পুরাতন পুকুর থেকে মাটি-বালু উত্তোলন শুরু করে পরবর্তীতে কৃষিজমি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। গভীর গর্ত করে মাটি-বালু উত্তোলনের কারণে এ সব পয়েন্টের আশপাশের কৃষিজমিগুলোও হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়াও ওই গ্রামের স্থানীয় সড়কেরও বেহালদশা হয়েছে।

একাধিক গ্রামবাসির অভিযোগ, মনিন্দ্রনাথ মনি, পলাশ, রেজাউল, বাবু ওরফে থাই বাবু, জিয়াসহ সাতজন মাটিবালু ব্যবসায়ী তাদের গ্রামের কৃষিজমির এ সব পয়েন্ট গড়ে তুলেছেন। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গ্রামবাসিরা একট্টা হয়ে এ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

অভিযোগের বিষয়ে মাটি-বালু ব্যবসায়ী মনিন্দ্রনাথ মনি ও বাবু ওরফে থাই বাবুর সঙ্গে কথা হলে জানান, তারা সুজাবাদ গ্রামে পুকুর থেকে মাটি-বালু উত্তোলন করছেন। কৃষিজমি থেকে মাটি-বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। গ্রামবাসি দাবি করেছিলো তাদের রাস্তা ঠিক করে দিতে হবে। দাবি মেনে সড়কে ইট বিছানো হচ্ছে।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের পরিবেশ ও ভূগোল বিভাগের প্রভাষক আবু সাঈদ জানান, অধৈবভাবে মাটি-বালু উত্তোলনের কারণে উপজেলা থেকে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। এছাড়াও জমির নি¤œস্তরের মাটি কাটার কারণে ধূলার সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এদিকে অবৈধ মাটি-বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা জানান, ‘আমি ট্রেনিংয়ে রয়েছি, আপনি এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।’ ইউএনও ফুয়ারা খাতুনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close