শেখ মো. ফুয়াদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে ৩৮শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ
শীতের এই মৌসুমে ময়মনসিংহের মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের প্রাকৃতিক স্যেন্দর্য্যরে লীলা ভুমি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য মুহুর্তেই দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে। জেলায় দুই দফা বন্যার ফলে কৃষরা ক্ষতিগ্রস্থ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চরাঞ্চলে উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার ফলন গত বছরের চেয়ে বেশী ভাল হয়েছে। বাজার মূল্য ভাল থাকলে সরিষা চাষীরা অধিক লাভের আশা করছেন। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হলে কৃষকরা তাদের পরিশ্রমের সফলতা এবং দুই দফা বন্যা ও অতি বৃষ্টির ক্ষতি পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় ৩ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতাসহ উৎপাদিত সরিষার ন্যায্য দাম পাবেন বলে সরিষা চাষীরা প্রত্যাশা করছেন।
সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজনীয় সার ও সময় মত জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ এবং ভাল বীজ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রোপনের ৮০/৯০ দিনের মধ্যে সরিষা ঘরে তোলা যায়। অপরদিকে জমিতে সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা আরো কয়েকগুনে বেড়ে থাকে বলে কৃষিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরনে দেশে সরিষার আবাদ বাড়ানো প্রয়োজন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ এস.এস ফারহানা হোসেন বলেন উপজেলার চরঞ্চলের কৃষকরা এবছর নতুন জাতের সরিষা আবাদ করায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার আশানুরূপ ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হলে দুই দফা বন্যার ক্ষতি কৃষক পুষিয়ে উঠতে পারবে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মাজেদ জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় ৩ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জেলায় প্রচুর সরিষা উৎপাদন হবে। এ বছর জেলায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুযোগ না হলে কৃষক সরিষা ঘরে তুলতে পারলে দুই দফা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে কৃষক ও কৃষিবিদরা জানিয়েছেন।
"