লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০৫ এপ্রিল, ২০২৪

চুরি হওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়ার ম্যাজিশিয়ান

হারিয়ে অথবা চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় এক হাজারেরও মোবাইল খুঁজে বের করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এস এম রাশেদ। হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এবং তিনি হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়ার ম্যাজিশিয়ান। কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় তিনি মোবাইল ফোন উদ্ধারের পেছনে কাটিয়েছেন। উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনটিতে তিনি পাঁচ দিন থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।

জানা যায়, এস এম রাশেদ ২০০৮ সালে কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন তিনি। ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালনকালে হারানো মোবাইল উদ্ধার করতে নেমে পড়েন। মোবাইল উদ্ধার যেন এখন তার নেশা। সেটাতে তিনি আনন্দ পান।

বর্তমানে তিনি লোহাগাড়া থানায় কর্মরত রয়েছেন। এই পর্যন্ত তিনি এক হাজারেরও অধিক বেশি মোবাইল উদ্ধার করেন। সর্বশেষ দুই মাসে লোহাগাড়ায় ৭৫টি মোবাইল উদ্ধার করেন। কিছুদিন পূর্বে ২৫টির মতো নামিদামি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো ৫০টির মতো মোবাইল উদ্ধারের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। সেগুলো দ্রুত প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।

লোহাগাড়া থানার এএসআই এস এম রাশেদ প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, লোহাগাড়া থানায় যোগদানের পর, হারানো মোবাইল নিয়ে অনেক অভিযোগ আসে। থানার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল ইসলাম স্যারের দিক-নির্দেশনায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করার কাজে নেমে পড়ি।

তিনি আরো বলেন, মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, যোগদানের পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় ৭৫টির বেশি মোবাইল উদ্ধার করি। সেগুলো বের করে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছি। মোবাইল হারালে সর্বপ্রথম জিডি করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে আইএমইআই নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এবং মোবাইল সেটের মডেলের বিবরণ। হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে তোলে দিতে গিয়ে তাদের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক দেখি নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারি না। প্রতিটি মোবাইলের সঙ্গে দুটি আইএমইআই নাম্বার যুক্ত থাকে। জিডি করার পরের কাজ হারানো মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত থাকা সিম তুলে ফেলা। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না।

লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, থানায় প্রতিনিয়তই মোবাইল হারানোর জিডি হয়। সেই জিডিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের একটি চৌকস টিম মোবাইলগুলো উদ্ধার কাজ করে থাকেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close