নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ জুন, ২০২৩

গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়

দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। একইসঙ্গে পোশাক খাতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারসহ উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২ জুন) তেজগাঁওয়ের আজিজ গ্রুপ সেন্টার অডিটোরিয়ামে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুইবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ফারুক হাসান বলেন, ঢাকা শহরেই এই অবস্থা, আমাদের কারখানায় বিদ্যুৎ থাকে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জায়গাটিতে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সব ধরনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং এই অসাধু কর্মকাণ্ডের পেছনে লাইনম্যান, মিটার রিডার ও ভোক্তা, যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩টি পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা মনে করি, এর ফলে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে আমরা দাবি করব, যেন আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি এলএনজি ও এলপিজির আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। এটি করা হলে একদিকে আমাদের শিল্পে উৎপাদন খরচ কমবে, আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেটি অর্জন সহজ হবে।

এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রত্যাশার যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি বলেও মনে করেন ফারুক হাসান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close